বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় অস্বচ্ছ্বতা নিয়ে বিরোধীদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল, একাধিক ব্যক্তির কাছে একই নম্বরের ভোটার কার্ডের সন্ধান পাওয়া। সেই সমস্যা সমাধানে এবার উদ্যোগী হল নির্বাচন কমিশন।
স্বচ্ছ্ব ভোটার তালিকার দাবিতে প্রথম সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকায় বহু ভুয়ো ভোটার রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগ ছিল, অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম বাংলার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। আবার এক ব্যক্তির একাধিক জায়গায় নাম রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার অভিযোগ ছিল একই নম্বরের ভোটার কার্ড একাধিক ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোটের পর একই অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই দুই রাজ্যের ভোটের আগে আচমকাই বিভিন্ন এলাকায় ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। যা কখনই সম্ভব নয়।
মমতার অভিযোগের পর নিজ নিজ এলাকায় ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে নামেন দলের নেতা কর্মীরা। বহু ভুয়ো ভোটারের সন্ধান মেলে বলেও দাবি তৃণমূলের। দলের তরফে সংসদীয় প্রতিনিধি দল কমিশনে গিয়ে অভিযোগও জানিয়ে আসে।
এরপরেই নড়েচড়ে বসে কমিশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোটার কার্ডের ইউনিক নম্বর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হল কমিশন। ২০ বছর আগের সমস্যা সমাধানে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানানো হয়েছে, দেশের ৯৯ কোটি ভোটারের কার্ড খতিয়ে দেখা হবে। এই কাজ করবেন, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন অফিসার। দেশের ৪১২৩ টি বিধানসভা ও সাড়ে ১০ লক্ষ ভোট কেন্দ্রের ভোটারদের ভোটার কার্ড পরীক্ষা করা হবে। কমিশনের কর্মীরা প্রয়োজনে ভোটারদের বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন। এবং একই নম্বরের ভোটার কার্ড যদি কোনও বিধানসভা বা বুথে একাধিক থেকে থাকে তা, সংশোধন করে নতুন নম্বর দেওয়া হবে।