ভোটমুখী বিহারে খয়রাতি! বিধবা ও বৃদ্ধদের ভাতা একলাফে অনেকটা বাড়ালেন মোদির ‘বন্ধু’ নীতীশ

ভোটমুখী বিহারে খয়রাতি! বিধবা ও বৃদ্ধদের ভাতা একলাফে অনেকটা বাড়ালেন মোদির ‘বন্ধু’ নীতীশ

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট বড় বালাই! একসময় যে খয়রাতির বিরোধিতায় মুখর ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিহারের ভোটে জিততেও সেই খয়রাতিই ভরসা প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’ নীতীশ কুমারের। ভোটের তিন-চার মাস আগে বিহারে বিধবা এবং বয়স্কদের পেনশন প্রায় ৩ গুণ করে দিলেন নীতীশ। একধাক্কায় ৭০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হল ওই সামাজিক সুরক্ষা ভাতা।

এত দিন বিহারে বয়স্ক নাগরিক, বিধবা মহিলা এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম নাগরিকেরা সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন প্রকল্পের অধীনে মাসে ৪০০ টাকা করে পেতেন। এবার থেকে ওই পেনশন বেড়ে হবে ১১০০ টাকা। অর্থাৎ, একধাক্কায় ৭০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হল ওই সামাজিক সুরক্ষা ভাতা। জুলাই মাস থেকেই এই বর্ধিত হারে ভাতা পাবেন বিহারের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, ‘এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের ১ কোটি ৯ লক্ষের বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে যাতে সকল গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেনশনের টাকা ঢুকে যায়, তা নিশ্চিত করবে সরকার।’

ভোটের মাস তিনেক আগে সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ একধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়াটা যে ভোট বাড়তি সমর্থন জোগাড় করার লক্ষ্যেই, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তেজস্বী যাদব লাগাতার বেকারত্ব মিটিয়ে রোজগারের দাবিতে আন্দোলন করে নীতীশ সরকারকে বেশ ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছেন। তার পালটা দিতে, ভাতার উপর আস্থা রাখলেন নীতীশ।

মজার কথা হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির নেতারা বরাবর এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভাতা রাজনীতি’র বিরোধিতা করে গিয়েছেন। ভোটের জন্য ‘রেওড়ি’ বিলি করা নিয়ে অতীতে সরব হয়েছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোটে জিততে সেই ‘রেওড়ি’ রাজনীতি করতে হচ্ছে বিজেপিকেও। এর আগে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে বিজেপি দেদার খয়রাত বিলিয়েছে। এবার বিহারেও সেই প্রক্রিয়া শুরু করলেন নীতীশ। অবশ্য তিনি একা নন, একদিন আগে বিহারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও একের পর এক ঘোষণা করে গিয়েছেন। মোট ৫.৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মোদি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *