সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাকে কেন্দ্র করে এত বিতর্ক সেই ভোটদানে উৎসাহ খাতে আসেনি কোনও মার্কিন অনুদান। আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) অনুদান বন্ধকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝেই রিপোর্ট পেশ করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গত বছর দেশের মোট ৭টি প্রকল্পে ৭৫ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে আমেরিকা।
গণতন্ত্রকে উৎসাহ দিতে ভারতের ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার অর্থাৎ ১৮২ কোটি টাকা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার দাবি, বাইডেন শাসনে অনুমোদন করা হয়েছিল এই অর্থ। যা বাতিল করে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারত তাঁদের কাছ থেকে উচ্চহারে কর আদায় করে। ফলে সেখানে ভোটের হার নিয়ে আমেরিকা একেবারেই চিন্তিত নয়। এই বরাদ্দকে অপ্রয়োজনীয় বলে জানান ট্রাম্প। যদিও পালটা ভারতের তরফে জানানো হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের তথ্য উদ্বেগজনক সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝেই এবার কেন্দ্রের তরফে রিপোর্ট পেশ করে জানানো হল, গত অর্থবর্ষে ৭টি খাতে অনুদান এলেও ভোটদানে উৎসাহ খাতে এমন কোনও অনুদান আমেরিকা থেকে ভারতে আসেনি।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের যে রিপোর্ট তুলে ধরা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ৭টি প্রকল্পে এসেছে অনুদান। এই প্রকল্পগুলি হল, কৃষি ও খাদ্যসুরক্ষা, জল-পরিচ্ছন্নতা-স্বাস্থ্যবিধি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, বিপর্যয় মোকাবিলা, স্বাস্থ্য, বন ও জলবায়ু অভিযোজন, শক্তির কার্যকারিতা ও প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণ প্রকল্প এবং উদ্ভাবন প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলিতে ৭৫ কোটি ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে ৯ কোটি ডলার অর্থাৎ ৮৪০ কোটি টাকা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে ট্রাম্পের দেশ। তবে যাকে কেন্দ্র করে এত বিতর্ক সেই ভোটদানে উৎসাহ খাতে কোনও টাকা আসেনি আমেরিকার তরফে।
উল্লেখ্য, ১৯৫১ সাল থেকে ভারতের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে অনুদান করে আসছে আমেরিকা। অর্থমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ি, ১৯৫১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৫৫টি উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত অর্থসাহায্য করেছে আমেরিকা। সেই সাহায্যের পরিমাণ ১৭০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি টাকা।