সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) নামে ‘ভোটচুরি’র প্রতিবাদে সোমবার দিল্লিতে সংসদ ভবন থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তর অবধি পদযাত্রা করবে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি! কমিশনের সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোরও কর্মসূচি নিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি। দেশজুড়ে ‘বাংলাদেশি’ দাগিয়ে দিয়ে বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণের আবহে কমিশন দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচিতেও বিভিন্ন ভাষার প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাবেন বিভিন্ন দলের সাংসদরা।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদ ভবন থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা শুরু করবেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। এই পদযাত্রায় বিরোধী শিবিরের ২০০ সাংসদ অংশ নিতে পারেন। সংসদ ভবন থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তর ‘নির্বাচন সদনে’র দূরত্ব মোটের উপর দুই কিলোমিটার। গোটা পথ হেঁটেই যাবেন বিরোধী নেতারা। এরপর বিভিন্ন ভাষার প্যাকার্ড হাতে ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের পর সংসদের বাইরে বিরোধী জোটের এটাই প্রথম কোনও কর্মসূচি।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে কংগ্রেস, তৃণমূলের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, শিবসেনার (উদ্ধব ঠাকরে শিবির) মতো রাজনৈতিক দলগুলি। সূত্রের খবর, বাংলা, ইংরেজি, তামিল, মরাঠি, মালয়ালি, হিন্দি ইত্যাদি ভাষায় প্ল্যাকার্ড থাকবে বিরোধী সাংসদদের হাতে। বলা বাহুল্য, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের হাতে থাকবে বাংলায় লেখা প্ল্যাকার্ড। কংগ্রেস ইংরেজি এবং মালয়ালি প্ল্যাকার্ড তৈরি করছে বলে জানা গিয়েছে। তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকের সাংসদদের হাতে থাকবে তামিল ভাষায় প্ল্যাকার্ড। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির কাছে থাকবে হিন্দিতে লেখা পোস্টার। মরাঠি ভাষায় স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড তৈরি করছে শিবসেনার উদ্ধব শিবির।
প্রসঙ্গত, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) পর বিহারে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। বিরোধী শিবির অভিযোগ করেছে, কমিশনকে বিজেপি ব্যবহার করছে। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে লোকসভা ভোট এবং কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশন ‘কারচুপি’ করেছে বলে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো কয়েকটি রাজ্যের উদাহরণ টেনেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। এদিকে আগামী বছরে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অসম, তামিলনাড়ুতে বিধানসভা ভোট রয়েছে। ফলে শঙ্কিত বিরোধী শিবির। গত ২১ জুলাই ধর্মতলায় দলীয় সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এসআইআর নিয়ে প্রয়োজনে কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করা হবে। কার্যত রাজধানীর বুকে সেই কর্মসূচিই দেখা যাবে সোমবার।