সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং সফল জঙ্গিনিধন অভিযান হল অপারেশন সিঁদুর। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে দাঁড়িয়ে বড়সড় দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের এতটা ভিতরে ঢুকে ভারতীয় সেনা জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, যে পাক সেনাও সেটা কল্পনা করতে পারেনি।
মোদি জমানায় এর আগে দুটি বড় জঙ্গি হামলার বদলা নিতে ৩ বার পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। প্রথমে ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক, এবং ২০২৫ সালে অপারেশন সিঁদুর। মোদি জমানায় ঘোষিতভাবেই বার তিনেক জঙ্গি দমন অভিযান হয়েছে। অতীতে ইউপিএ জমানাতেও একাধিক জঙ্গি দমন অভিযান হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী-রাজীব গান্ধীর আমলেও একাধিক বড়সড় জঙ্গিদমন অভিযান চালিয়েছে ভারত সরকার। তবে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এটাই ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জঙ্গিদমন অভিযান। তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ওই অপারেশগুলির থেকে সিঁদুর কিছুটা হলেও আলাদা। কারণ সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের হাতেও পরমাণু বোমা আছে। ভারত ও পাকিস্তান দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যেভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
ভোপালের সভা থেকে মোদি বললেন, “এটাই ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং সফল জঙ্গি নিধন অপারেশন। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের এতটা ভিতরে ঢুকে জঙ্গি মেরেছে, যে পাক সেনাও সেটা ভাবতে পারেনি। অপারেশন সিঁদুর স্পষ্ট করে দিয়েছে, জঙ্গিদের হাতিয়ার করে প্রক্সি যুদ্ধ আর বরদাস্ত করা হবে না।” প্রধানমন্ত্রী বলছেন, “আমরা তোমাদের ঘরে ঢুকে মারব। যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তাদের কড়া মূল্য চোকাতে হবে।”
বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই সেটার কৃতিত্ব নিতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী। ভোপালের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের সেই চেষ্টাই প্রধানমন্ত্রী করলেন বলে দাবি কংগ্রেসের।