সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে দেশবাসী। অথচ সহানুভূতি দেখানো তো দূরের কথা, একের পর এক ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য করে যাচ্ছেন পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। শিখর ধাওয়ানরা পালটা উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও থামেননি আফ্রিদি। কিন্তু কেন ভারতের উপর এত ‘রাগ’ আফ্রিদির?
জানা যায়, আফ্রিদির এক খুড়তুতো ভাই ছিল জঙ্গি। সেই শাকিব আফ্রিদি ছিল জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-আনসারের অন্যতম নেতা। যে ২০০৩ সালে অনন্তনাগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যায়। তার আগে দু’বছর জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল শাকিব। পেশোয়ারের বাসিন্দা ছিল সে। সেই সময় তার কাছ থেকে যে নথি পাওয়া গিয়েছিল, তাতে মনে করা হয় শাকিবের সঙ্গে শাহিদ আফ্রিদিদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে।
২০০৩ সালে আফ্রিদি পাকিস্তান দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। যদিও ওই সময় আফ্রিদির তরফ থেকে বলা হয়েছিল, তিনি শাকিবকে চেনেন না। আফ্রিদি পরিবার এত বড় যে, অনেককেই তিনি ভুলে গিয়েছেন। তবে দেশভাগের ইতিহাসের সঙ্গেও আফ্রিদিদের সংযোগ আছে। স্বাধীনতার পর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চাওয়া কাশ্মীরকে দখল করার জন্য আফ্রিদি গোষ্ঠী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল।
এখনও পাক সরকার ও সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে আফ্রিদিদের। তাঁর মেয়ের সঙ্গে ক্রিকেটার শাহিন শাহ আফ্রিদির বিয়েতে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে ছিলেন আইএসআই’এর প্রাক্তন মুখপাত্র আসিম সালিম বাজওয়া। ফলে অনেকেই মনে করছেন, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর শাহিদ আফ্রিদির এই অতি সক্রিয়তার কারণ ‘ব্যক্তিগত’। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই যাচ্ছেতাই বলে যাচ্ছেন আফ্রিদি। কখনও ভারতীয় সেনাকে ‘নিষ্কর্মা আর অপদার্থ’ বলেন। কখনও বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে খোঁচা মেরে চা খাওয়ার ছবি পোস্ট করেন।