শিলাজিৎ সরকার: শুক্রবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মেট্রোর নতুন তিন রুটের উদ্বোধন করবেন তিনি। তাঁর আসার আগেই রীতিমতো তোপ দাগলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, জাতীয় ফুটবল দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাঙালি বিদ্বেষী মনোভাব দেখা যাচ্ছে। তাছাড়াও কলকাতা লিগের খেলা কলকাতায় ফেরানো নিয়েও ইতিবাচক কথা বলেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
ভারতীয় ফুটবল দলে বাঙালিদের প্রায় দেখাই যায় না। এই প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “এতদিন প্রিমিয়ার লিগে পাঁচজন বাঙালি ফুটবলার খেলতে পারত। আমাদের উদ্যোগের পর সংখ্যাটা এখন বাড়িয়ে ৬ করা এসেছে। আমরা চাই, সংখ্যাটা ৮ বা ৯ গিয়ে দাঁড়াক। সেই লক্ষ্যেই তো এই টুর্নামেন্ট। কেন্দ্রীয় সরকার তো বটেই, এমনকী কর্তারাও (ফেডারেশন) এই বঞ্চনার সঙ্গে যুক্ত।”
অরূপ বিশ্বাসের সংযোজন, “এভাবে বাংলার প্রতিভাকে কোনওভাবে দমানো যায়নি, যাবেও না। এই বাংলা থেকে অনেকেই নেতৃত্বও দিয়েছেন। বাংলা মাথা উঁচু করে সবার শীর্ষে ছিল। সেই কারণেই গোখলে বলেছিলেন, আজ বাংলা যা বলছে, কাল ভারতবর্ষ সেটাই ভাবছে।”
তাছাড়া কলকাতা লিগের খেলা কলকাতায় ফেরানো নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “অতি অবশ্যই কলকাতা লিগের খেলা কলকাতায় ফিরবে। ইতিমধ্যেই আমরা এই ব্যাপারে হকি বেঙ্গলের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আগামী বছর থেকে চেষ্টা করব যাতে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান মাঠে হকি না হয়। কারণ দু’টি অ্যাস্ট্রোটার্ফ হকি স্টেডিয়াম পাচ্ছে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে হকি বেঙ্গলের নিজস্ব অ্যাস্ট্র্যোটার্ফ স্টেডিয়াম।”
কোথায় তৈরি হচ্ছে হকি স্টেডিয়াম? ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের কাছে তো আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে। এখানে ২১ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন। ভারতের কোথাও এমন মানের হকি স্টেডিয়াম নেই। তাছাড়াও স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে হাওড়ার ডুমুরজোলাতেও। আশা করব বাংলার হকির দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করবে এই দুই স্টেডিয়াম। আগামী বছর থেকে তিন মাঠে যদি হকি না হয়, তাহলে মাঠ তৈরি করার সময় পেয়ে যাবে তিন ক্লাব। সেক্ষেত্রে কলকাতা ময়দানে ফুটবল ফিরতে পারবে। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে, এই বছরেও শেষের দিকে যাতে কিছু ম্যাচ কলকাতা ময়দানে আয়োজন করা যায়। সমস্যা থাকবেই। সেগুলো সবাই মিলে সমাধান করতে হবে।”