সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বাজারে তাঁর হাজার হাজার কোটির দেনা। একাধিক ভারতীয় এজেন্সি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। তাঁকে প্রত্যর্পণের চেষ্টাও করছে ভারত সরকার। এসবের হাত থেকে বাঁচতে এবার ভারতীয় নাগরিকত্বই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পলাতক ব্যবসায়ী।
বিদেশমন্ত্রকের তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, ললিত মোদি ভারতের পাসপোর্ট ছাড়তে চান। অর্থাৎ এ দেশের নাগরিকত্ব আর রাখতে চাইছেন না পলাতক ব্যবসায়ী। তিনি লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সে কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। রণধীর জানিয়েছেন, “ললিত পাসপোর্ট ছাড়ার জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর আবেদন পত্র খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, “ললিতের বিরুদ্ধে যা যা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার, সেটা নেওয়া হবে।”
সূত্রের খবর, ললিত ভারতের পাসপোর্ট ছেড়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ওই দ্বীপরাষ্ট্রটির সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। তাই আগামী দিনে তিনি যদি ভারতের আইনে দোষীও সাব্যস্ত হন, তাতেও তাঁকে দেশে ফেরাতে পারবে না ভারত। সেই ছকেই ভারতীয় নাগরিকত্ব ছাড়তে চাইছেন তিনি।
আসলে প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে দুষ্ট। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি-সহ একাধিক ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০১০ সালে ভারত ছেড়ে পালান ললিত মোদি। মূলত আর্থিক তছরুপ মামলায় আইনি জটিলতা থেকে বাঁচতেই দেশ ছেড়েছিলেন আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। আপাতত তিনি থাকেন ব্রিটেনে। ইন্টারপোল তাঁর খোঁজে নোটিস জারি করেছে। কিন্তু এখনও ললিতকে দেশে ফেরানো যায়নি। দেশে ফেরার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করার জন্যই পাসপোর্ট ছাড়তে চাইছেন ললিত।