ভরা বর্ষায় লক্ষ্মীলাভ! এক নৌকাতেই উঠল ৬৫ মণ ইলিশ, বিক্রি ৪০ লক্ষ টাকায়

ভরা বর্ষায় লক্ষ্মীলাভ! এক নৌকাতেই উঠল ৬৫ মণ ইলিশ, বিক্রি ৪০ লক্ষ টাকায়

রাজ্য/STATE
Spread the love


নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: বর্ষার দিনে পাতে একটু ইলিশ না পড়লে হয়! এপার বাংলার মতো ওপার বাংলাতেও ‘রুপোলী শস্য’র চাহিদা তুঙ্গে। ভালো ইলিশের খোঁজে রোজই সমুদ্রে যাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। এবার একটি নৌকায় উঠল ৬৫ মণ ইলিশ। যা আবার বিক্রি হল ৪০ লক্ষ টাকায়।

জানা গিয়েছে, দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা পটুয়াখালীতে একটি নৌকায় ধরা পড়েছে এই বিপুল পরিমাণ ইলিশ। পটুয়াখালীর আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মেসার্স খান ফিস আড়তে নিয়ে গেলে তা নিলামে বিক্রি করা হয়। কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণে ১৫০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে এসব ইলিশ ধরা পড়ে। স্থানীয়রা জানায়, এফবি সাদিয়া-২ নামে মাছ ধরা ট্রলারটি গত বৃহস্পতিবার আলিপুর ঘাট থেকে ২৩ জন মৎস্যজীবী ইলিশ শিকারে যায়। গত দু’দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে এসব ইলিশ ধরা হয়।

আড়ৎ সূত্রে খবর, ইলিশ আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তিনটি আকারে আলাদা করা হয়। ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের মাছ মণ প্রতি ৯৫ হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ ৭০ হাজার টাকা, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ ৫৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ১লাখ ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন বলেন, ৯ জুলাই আলিপুর ঘাট থেকে ২৩ জন মৎস্যজীবী নিয়ে সমুদ্রে যাওয়া হয়। ফিশিং করতে করতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে এ পরিমাণ ইলিশ মেলে।

খান ফিসের ম্যানেজার মহম্মদ সাগর ইসলাম বলেন, “অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। খারাপ আবহাওয়ায় মৎস্যজীবীরা দিশোহারা হয়ে পড়েন। এই ইলিশ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা।” কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য আধিকারীক অপু সাহা বলেন, দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা ও বৈরি আবহাওয়ায় মৎস্যজীবীরা লোকসানে জর্জরিত হয়েছেন। কিছুদিন ধরে ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছে। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফলও বলা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সামনে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পাবে বলে আশা করা যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *