‘ভয়ের কিচ্ছু নেই’, জঙ্গি হামলার পাঁচ দিন পর পহেলগাঁওয়ে পর্যটক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে ছন্দে ফিরছে ভূস্বর্গ

‘ভয়ের কিচ্ছু নেই’, জঙ্গি হামলার পাঁচ দিন পর পহেলগাঁওয়ে পর্যটক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে ছন্দে ফিরছে ভূস্বর্গ

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকেরই কাশ্মীর ভ্রমণের স্বপ্ন ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের লক্ষ্য করে চলা ইস্পাতের বুলেটে। অনেকেই ভেবেছিলেন ‘মর্ত্যের স্বর্গে’ রম্যসফরের বুঝি ইতি ঘটল, অন্তত কয়েক বছরের জন্য। কিন্তু না। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য প্রশাসন, কেন্দ্রীয় সরকার, সেনা-পুলিশের তৎপরতায় এবং পর্যটকদের সাহসে ভর করে ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে উপত্যকা। এমনকী রবিবার অভিশপ্ত পহেলগাঁওয়ে ফিরলেন পর্যটকরা। উপভোগ করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে খ্যাত বৈসরনে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর আতঙ্কে পহেলাগাঁও ছাড়েন বহু পর্যটক। পরবর্তী কয়েক দিন সুন্দরী উপত্যকার রূপ দেখতে আসার সাহস করেননি কেউ। এমনকী কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেন পর্যাটকদের একাংশ। যদিও ধীর লয়ে হলেও সেই পরিস্থিতির বদলাচ্ছে। প্রমাণ দিলেন রবিবার বেঙ্গালুরু ও কলকাতা থেকে পহেলগাঁও পৌঁছানো পর্যটকরা। এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে আস্থা প্রকাশ করলেন তাঁরা। চাপা উদ্বেগ সত্ত্বেও পাহেলগাঁও ভ্রমণ বাদ দেননি ভ্রমণপিপাসু মানুষগুলো।

কলকাতা থেকে আসা এক তরুণী জানালেন, “কাশ্মীর এখন নিরাপদ। দোকান-পাট খোলা। পর্যটকরা নিরাপদ। সবাই আসছেন। আপনারও যদি কাশ্মীর বেড়ানোর পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে আসুন।” গুজরাটের সুরাট থেকে আসা মহম্মদ আনাস জানালেন, সবকিছু আগের মতো হয়ে গিয়েছে। বললেন, “চিন্তার কিছু নেই। সেনাবাহিনী, সরকার এবং স্থানীয়রা আমাদের সঙ্গে আছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।” ভয় যে পেয়েছিলেন তাও জানালেন। বলেন, “ঘটনার পর আমরা ভীত ছিলাম। প্রথমে ফিরে যাব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু স্থানীয়রা এবং সেনাবাহিনী আমাদের সাহস দেয়।”

বিদেশি পর্যটকরাও জানালেন আর ভয় পাচ্ছেন না মোটেই। ক্রোয়েশিয়া থেকে আসা তরুণী বলেন, “আমরা এখানে ৩-৪ দিন ধরে আছি। দিব্য নিরাপদ বোধ করছি। আপনাদের দেশ খুব সুন্দর। আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি। এখানে মানুষ খুব আন্তরিক। কাশ্মীরে পৌঁছানোর একদিন আগে আমরা ঘটনাটি (জঙ্গি হামলা) শুনেছিলাম। তথাপি এসেছি। আমরা নিরাপদ বোধ করছি।”

পর্যটকদের এই নিরপত্তা বোধই ছন্দে ফেরাতে পারে কাশ্মীরকে। যাতে করে সবেচেয়ে বেশি করে উপকৃত হবেন স্থানীয়রা। কারণ পর্যটনই যে কাশ্মীরে যান। অর্থনীতি চাঙ্গা হলে সব ঠিক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *