ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জগন্নাথদেবের প্রসাদ নিতে গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক লাগবে না। রেশন কার্ড দেখিয়ে, খাতায় সই করেই রেশন দোকান থেকে নেওয়া যাবে প্রসাদ।
জানালেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। আগামী ২০ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গে জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিলি করা হবে।
রেশন দোকানে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের পরই গ্রাহক রেশন পান। কিন্তু প্রসাদ বিলির ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করতে গেলে সমস্যা হতে পারে, তা আগাম আঁচ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রসাদ নিতে লাগবে না বায়োমেট্রিক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের দিনই জানিয়েছিলেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ। ঠিক হয় দুয়ারে রেশনের প্রকল্পের মাধ্যমে প্রসাদ দেওয়া হবে। কিন্তু রেশন নিতে গেলে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের পর রেশন পান গ্রাহকরা। রেশন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতেই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। কিন্তু প্রসাদ বিতরনের সময় বায়োমেট্রিক যাচাই করতে গেলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেই বিষয় আগাম আঁচ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৯জুন জগন্নাথদেবকে নিবেদন করা মহাপ্রসাদ ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় পৌঁছতে শুরু করেছে। সেই প্রসাদ পৌঁছে যাবে গ্রাহকদের কাছে। মহকুমা শাসকরা সেই কাজ শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, মহাপ্রভু জগন্নাথদেবের সামনে নিবেদন করা ৩০০ কেজি খোয়া ক্ষীর নিবেদন করা হয়। তারপর সেই প্রসাদ বিলি শুরু হয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরের ঐতিহ্যবাহী প্রসাদ গজা ও পেঁড়ার সঙ্গে সেই খোয়া ক্ষীর মিশ্রিত মহাপ্রসাদ রাজ্যের বিভিন্ন তা পৌঁছে যাবে রথযাত্রার আগেই। এনিয়ে জেলাবাসীও বেশ খুশি। এখন অপেক্ষা, দিঘার জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ হাতে পাওয়ার।