সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২০ কিমি পাল্লার শক্তিশালী দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এমনটাই দাবি পাকিস্তানের। সূত্রের খবর, এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পোশাকি নাম ‘ফাতেহ’। সোমবার এটির পরীক্ষা করা হয়েছে বলে দাবি ইসলামাবাদের।
পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) জানিয়েছে, উচ্চশক্তি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রটি দূর থেকেই শত্রুকে আঘাত হানতে সক্ষম। এর উন্নত নেভিগেশন পদ্ধতি এবং যাবতীয় প্রযুক্তিগত ক্ষমতা যাচাই করার জন্যই আজ পরীক্ষাটি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবারই ৪৫০ কিমি পাল্লার অন্য একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল পাকিস্তান। ওই ব্যালেস্টিক মিসাইলটির নাম ‘আবদালি ওয়েপন সিস্টেম’। পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, সোনমিয়ানি রেঞ্জে আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের (এএসএফসি) অধীনে ব্যালেস্টিক মিসাইলটির পরীক্ষা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরের গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন যুদ্ধ বিমান অবতরণ ও উত্তরণের মহড়া সেরেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সকালে ও রাতে দু’দফায় গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাঝে সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা এয়ারস্ট্রিপে কান ফাটানো আওয়াজে ‘ল্যান্ড অ্যান্ড গো ফ্লাইপাস্ট’ করে বায়ুসেনার বিভিন্ন ফাইটার জেট, হেলিকপ্টার। রাফেল, সুখোই এসইউ ৩০ এমকেআই, বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক করা মিরাজ ২০০০, মিগ ২৯, জাগুয়ার, সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস, এএন ৩২, এমআই-১৭ হেলিকপ্টারও এদিন অংশ নিয়েছে মহড়ায়। যদিও পহেলগাঁও নাশকতার আবহে দেশজুড়ে যখন ওঠা শুরু হয়েছে যুদ্ধের জিগির, তখন এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার টিলা ফিল্ড অ্যান্ড ফায়ারিং রেঞ্জে হ্যামার স্ট্রাইক মহড়া করেছে পাকিস্তান সেনাও। যেখানে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির দিল্লির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “কোনওরকম সেনা অভিযান হলে, তার যোগ্য জবাব দিতে তৈরি ইসলামাবাদ।” তাহলে কি যুদ্ধ এবার আসন্ন? দু’দেশের বাতাসে একটা প্রশ্নই ঘোরা ফেরা করছে। কিন্তু এখনই তার উত্তর দেওয়া কঠিন।