সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখিয়েও আয়কর ফাঁকি দিচ্ছে দেশের একশ্রেণির নাগরিক? খুব সামান্য তাঁদের ব্যাঙ্কের লেনদেন। বিশেষত টাকা তোলার বিষয়ে অনিহা রয়েছে তাদের। প্রশ্ন হল, তাহলে রোজকার ব্যয়বহুল জীবন চলছে কীভাবে? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, দেশজুড়ে এমন ‘সন্দেহজনক’ ব্যক্তিদের নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর।
ওই নোটিসে ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাবের চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রান্নার তেল, মশলা, আটা, চাল, গ্যাস, জুতো, সাজার জিনিস। ছেলেমেয়ের শিক্ষায় খরচ, রেস্তরাঁর ব্যয়, এমনকী চুল কাটার খরচ। বলা বাহুল্য, খরুচে নাগরিক মাত্রই এই নোটিস পাচ্ছেন না। আয়কর বিভাগের নজরে রয়েছে সেই সমস্ত ব্যক্তি, যাঁদের মোটা অঙ্কের আয় থাকলেও খরচ আশ্চর্যজনক ভাবে অতি সামান্য। প্রশ্ন উঠছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সামান্য পরিমাণ টাকা তুলেও কীভাবে ব্যয়বহুল জীবনযাপন করছেন তাঁরা! তাহলে কি সরকারকে দেওয়া হিসাবের বাইরে অন্য মাধ্যমে আয় রয়েছে তাঁদের! এই বিষয়েই নজর রাখা শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়কর দপ্তর সন্দেহজনক ব্যক্তির গোটা পরিবারের বিস্তারিত তথ্য তলব করেছে, তাঁদের বাৎসরিক আয়, প্যান নাম্বার-সহ। যাঁরা এই তথ্য দেবেন না, আয়কর দপ্তর ধরে নেবে বছরে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট উইথড্রলের পরিমাণ ১ কোটি টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়কর দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, এই নোটিস সবার জন্য নয়। নির্দিষ্টি কিছু ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। যাঁরা বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন, অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খুব সামান্য অর্থ তুলছেন। মনে করা হচ্ছে অন্য কোনও আয়ের উৎস রয়েছে তাঁদের। আয়ের সেই উৎস নগদ। যা লোকানো হচ্ছে।