বৃষ্টি মাথায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মন্ত্রী অরূপ, খতিয়ে দেখলেন বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ

বৃষ্টি মাথায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মন্ত্রী অরূপ, খতিয়ে দেখলেন বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বৃষ্টি মাথায় দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। তার আগে পুরনো দিঘার বিদ্যুৎ ভবন(রানসউইক ভবন) এ বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শান্তনু বসু, প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান হরেকৃষ্ণ দিবেদী, জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাজী-সহ জেলা প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিলেন।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথধাম উদ্বোধনের কর্মসূচিকে রাজ্য তো বটেই, জাতীয় এমনকি, আন্তর্জাতিক স্তরেও ‘মেগা ইভেন্ট’-এর রূপ দিতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্ন সভাঘরে মন্দির উদ্বোধন সংক্রান্ত প্রাক প্রস্তুতি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ পাওয়ার ২৪ঘন্টা কাটতে না কাটতে বৃহস্পতিবার জগন্নাথধাম পরিদর্শন-সহ মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বিদ্যুৎমন্ত্রী সরেজমিনে দিঘায় উপস্থিত হন। ঝড়বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন। তার আগে প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী । সেই বৈঠকে উদ্বোধনের জন্যে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সেগুলোর খোঁজখবর নেন। এমনকী বিভাগীয় আধিকারিকদের থেকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিষয়গুলি জানার চেষ্টা করেন। কোথাও কোনরকম সমস্যা থেকে থাকলে সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটানোর নির্দেশ দেন।

মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ৩০ এপ্রিল। ২৯ তারিখে যজ্ঞ। নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো অনুষ্ঠানের যে রূপরেখা জানিয়েছেন, তাতে ২৮ তারিখ থেকেই গোটা এলাকায় সাজো-সাজো রব পড়বে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে গড়া হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। ফলে পরিকল্পনা এবং অন্যান্য আবহেও পুরীর মতোই জগন্নাথ মন্দির কে সাজিয়ে তোলা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগিয়েছে। এমনকী পুরীর মন্দির চত্বরের মতোই চত্বর গড়ে তোলা হয়েছে। থাকছে জগন্নাথের মাসির বাড়িও। তৈরি হচ্ছে চৈতন্যদ্বার। মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, “মন্দিরে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে তার কাজ শেষ হয়েছে। দপ্তরের আধিকারিকেরা রিপোর্ট করেছিলেন। তাই পরিদর্শন করতে এসেছিলাম। ঘুরে দেখালাম, খুবই ভালো কাজ হয়েছে। জগন্নাথদেবের ইচ্ছে তিনি যেমনভাবে চেয়েছেন তেমনভাবে হয়েছে। তবে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ রয়েছে দিদির উপর। তাই তিনি এরকম একটি মন্দির স্থাপন করতে পেরেছেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *