সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টির বাধা টপকে বড় রান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। তবে এদিন নির্ধারিত সময়েই টস হয়। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়ে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। এরজন্য অবশ্য কোনও ওভার কমেনি। শেষমেশ বৃষ্টি কমায় ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর রাত ৯.৪৫ নাগাদ শুরু হয় খেলা। এত দেরিতে ম্যাচ শুরু হওয়ায় দর্শকদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ চোখে পড়ে।
শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। গত ম্যাচের ‘নায়ক’ রোহিত শর্মা এদিন ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁর প্রিয় পুল শট মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ‘হিটম্যান’। প্রথম উইকেট পতনের পর জনি বেয়ারস্টো এবং তিলক বর্মা মিলে ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ২৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন বেয়ারস্টো। এরপর সূর্যকুমার যাদব ছিলেন সাবলীল। ২৬ বলে ৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে চাহালের বলে আউট হয়ে ডাগআউট যাত্রা করেন তিনি। তখন মুম্বইয়ের রান ১৩.৫ ওভারে ১৪২।
সূর্য আউট হতেই কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলেন তিলক বর্মা। ভালো খেলতে খেলতে ছন্দ হারিয়ে ঠিক দু’টো বল পরেই আউট তিনি। তাঁর ব্যাটের সম্বল ২৯ বলে ৪৪। দ্রুত দু’টি উইকেট পড়ে গেলেও হাল ধরেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং নমন ধীর। যদিও পাণ্ডিয়া ১৫’র বেশি করতে পারেননি। তিনি যখন আউট, মুম্বইয়ের রান ৫ উইকেটে ১৮০।
উইকেটের অন্যপ্রান্তে নমন ধীর লড়াই চালাতে থাকেন। ১৯তম ওভারে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ ১৩ রান। যদিও শেষ ওভারে ওমরজাইয়ের বলে সাজঘরে ফেরেন নমন। ১৫ বলে ৩৩ রানের অত্যন্ত মূল্যবান ইনিংস উপহার দেন তিনি। শেষপর্যন্ত মুম্বইয়ের ইনিংস থামে ২০৩ রানে। পাঞ্জাবের হয়ে আজমতুল্লাহ ওমরজাই ২টি, কাইল জেমিসন, মার্কাস স্টয়নিস এবং যুজবেন্দ্র চাহাল নেন ১টি করে উইকেট। ফাইনালের ওঠার জন্য শ্রেয়সদের করতে হবে ২০৪।