সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা টিম লিগ পর্ব শেষ করেছিল শীর্ষস্থানে। কিন্তু প্রথম কোয়ালিফায়ারে আরসিবি’র কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে। সেখান থেকে ফেরার লড়াই থাকবে পাঞ্জাব কিংসের। অন্যদিকে আরেকটি দল কিছুটা তাদের নিয়ম মেনেই আইপিএল শুরু করেছিল ঢিমেতালে। কিন্তু ঠিক সময়ে সেরা ছন্দে এসেছে। এলিমিনেটরে গুজরাট টাইটান্সকে উড়িয়ে দিয়েছে। নক আউট মানেই যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অপ্রতিরোধ্য, তা ফের প্রমাণ করেছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কেমন হতে পারে দুই দলের প্রথম একাদশ? শক্তি আর দুর্বলতাই বা কী?
গুজরাটের বিরুদ্ধে ফর্মে ফিরেছেন রোহিত শর্মা। বদলি হিসেবে আসা জনি বেয়ারস্টোও কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। সেটা নিঃসন্দেহে এগিয়ে রাখবে মুম্বইকে। আর তাছাড়া জশপ্রীত বুমরাহ তো আছেনই। কখন যে ম্যাচের গতি বদলে দেবেন, তা প্রতিপক্ষ টেরও পাবে না। এলিমিনেটরে গুজরাটের বিরুদ্ধে ঠিক সেটাই ঘটেছে। ধারাবাহিক পারফর্ম করে চলেছেন সূর্যকুমার যাদব। তবে মুম্বইকে চিন্তায় রাখবে বুমরাহ ছাড়া বাকি বোলারদের ফর্ম। স্পিন বিভাগও সেই তুলনায় অনভিজ্ঞ।
অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পাঞ্জাব ব্যাটিংয়ের রথের চাকা বসে গিয়েছে। বুমরাহর চব্বিশটা বলের সামনে শ্রেয়সরা কী করেন সেটাই দেখার। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ হলেও প্রভসিমরন ও প্রিয়াংশের ওপেনিং জুটি টুর্নামেন্ট জুড়ে ভরসা জুগিয়েছে। মুম্বই-বাধা পার করতে হলে তাঁদের ব্যাট চলতে হবে। ভালো পারফর্ম করতে হবে শ্রেয়সকেও। ১৫ ম্যাচে ১৮ উইকেট পাওয়া অর্শদীপ সিংও গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফিরতে পারেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ডান কবজির সমস্যা মিটিয়ে ম্যাচ ফিট হয়ে উঠেছেন তিনি। বাকি সেভাবে আর বদলের কোনও সম্ভাবনা খুব কম। অন্যদিকে গুজরাট ম্যাচে চোট পেয়েছেন রিচার্ড গ্লেসন। সেখানে ফিরতে পারেন দীপক চাহার। সেক্ষেত্রে রাজ বাওয়ার জায়গায় খেলতে পারেন মিচেল স্যান্টনার।