বিশ্বে বিচারাধীন বন্দি ১০ হাজার ভারতীয়! আমিরশাহীতে ফাঁসির আসামী ২৫, তথ্য দিল কেন্দ্র

বিশ্বে বিচারাধীন বন্দি ১০ হাজার ভারতীয়! আমিরশাহীতে ফাঁসির আসামী ২৫, তথ্য দিল কেন্দ্র

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের শাহজাদি খানের ফাঁসির সাজা কার্যকর হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। সেই একই দিনেই আরও দু’জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সে দেশে। এখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ২৫ জনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে তা কার্যকর হয়নি। প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ১০,১৫২ জন ভারতীয় বিচারাধীন বন্দি হিসাবে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য সভায় প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এই তথ্য দিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং।

শাহজাদি খানে মৃত্যুর পর দেশে হইচই শুরু হয়। সেই আঁচ গিয়ে পড়ে রাজ্যসভায়। কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোন দেশে কত ভারতীয় বন্দি হয়ে রয়েছেন। কতজনের মৃতুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালত? বিগত বছরগুলিতে কতজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে? দেশ তাদের কোনও সাহায্য করে কি না? বলতে উঠে এই সব প্রশ্নের উত্তর দেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী।

কীর্তিবর্ধন জানান, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। সেই সংখ্যাটা ২৫। বাকিরা রয়েছেন সৌদি আরবে ১১ জন, মালয়েশিয়ায় ছ’জন, কুয়েতে তিনজন এবং ইন্দোনেশিয়া, ইয়েমেন, কাতার, আমেরিকায় একজন করে ভারতীয়ের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে সেই আদেশ এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।

বিগত বছরগুলিতে কতজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে? ওই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালে কুয়েত এবং সৌদিতে তিনজন করে ভারতীয়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালে এই দুই দেশেই পাঁচজন করে ভারতীয়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মালয়েশিয়ায় ২০২৩ সালে একজন একই বছর জিম্বাবোয়েতে সেই দেশের আদালতের নির্দেশে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

ভারত সরকার তাঁদের কোনও সাহায্য করে কি না জানতে চাইলে বলা হয়, বিশ্বের যে কোনও দেশের জেলে থাকা ভারতীয়দের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। ভারতীয় দূতাবাস-সহ অন্য দপ্তরগুলি বন্দিদের আইনি সহায়তা প্রদান করে। ফাঁসির সাজা পেলে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতেও তাঁদের সাহায্য করা হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *