সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রীদের দেহ ফেরানো নিয়ে নাজেহাল অবস্থা প্রশাসনের। অস্বস্তিতে মৃতদের পরিজনেরা। আসলে দলাপাকানো, খণ্ডবিখণ্ড, পুড়ে যাওয়া শরীর চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। সেই কারণেই ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সেই প্রক্রিয়াতেই রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৭ জন যাত্রীর দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রিতায় পরিজনেরা বিরক্ত হলেও অন্য উপায় নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎকালীন তৎপরতায় কাজ করেছেন উদ্ধারকারী দল, পুলিশ, আহমেদাবাদ পুরসভা, সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসক এবং অন্য কর্মীরা। এরপরেও দেহ শনাক্তকরণের কাজ শম্বুক গতিতে এগোচ্ছে। নেপথ্য ডিএনএ পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলেছে গুজরাটের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। মৃতদের আত্মীয়রা আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতাল এবং অন্যত্র এসে ভিড় জমাচ্ছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুষিকেশ পটেল জানান, এখনও পর্যন্ত ৪৭ জনের দেহ ডিএনএ পরীক্ষায় শনাক্ত করা গিয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবারই ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। সোমবার প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রূপাণীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আগামীকাল গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ভারত। আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু সময় পরেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান। যাত্রী, ক্রু সদস্য ও পাইলট মিলিয়ে বিমানে ছিলেন মোট ২৪২ জন। দুর্ঘটনায় একজন যাত্রী ছাড়া সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। আহমেদাবাদে বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও আকাশের-আতঙ্ক কাটছে না! বিমান বিপর্যয়ে সব মিলিয়ে মৃতে সংখ্যা ২৭০-এর বেশি।