সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়তে হলে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮-৯ শতাংশ হওয়া প্রয়োজন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন অর্থনীতিবিদ তথা আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।
তিনি বলেন, “ভারতের বর্তমান আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ। এটি একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা। কিন্তু এই হার আমাদের আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এটাই আদর্শ সময়। দেশে আরও নতুন বিনিয়োগ আনতে হবে। বাণিজ্যের গতি আরও বৃদ্ধি করতে হবে।”
সম্প্রতি ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ। গত চার বছরের নিরিখে এটাই সবচেয়ে ধীরগতির বৃদ্ধি। যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ সালের রিয়েল জিডিপি ৬.৫ শতাংশ। অন্যদিকে নামমাত্র জিডিপি ৯.৮ শতাংশ। যদিও পূর্বাভাস ছিল তা ৯.৯ শতাংশ হবে। এদিকে সারা বছরের তুলনায় চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৪ শতাংশ ছিল। যা বছরের বাকি ত্রৈমাসিক হিসেবের তুলনায় সবচেয়ে দ্রুতগামী।
গত বছরগুলির তুলনায় এবারের বৃদ্ধি কম থাকাটা বুঝিয়ে দিচ্ছে সামগ্রিক ভাবে অর্থনৈতিক কার্যকলাপই কার্যত ঝিমিয়ে পড়েছে। অথচ অতিমারী পরবর্তী বছরগুলিতে বেশ দ্রুতগতিতেই আর্থিক বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছিল। তবে এহেন পরিস্থিতিতেও ভারত বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির মধ্যেই রয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছিল, ভারত চলতি বছরেও বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির প্রধান অর্থনীতি হিসাবে নিজের জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রসংঘের আশা ছিল, চলতি অর্থবছরে ভারতের বৃদ্ধির হার হবে ৬.৩ শতাংশ। তবে দেখা গেল সেটা দাঁড়িয়েছে ৬.৫ শতাংশে।