সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি রুখতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইজরায়েল। একের পর এক পরমাণু গবেষণাগার, সেনাঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাদ যায়নি সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ির। চোখের সামনের নিজেদের বাসস্থান ধূলিসাৎ হয়ে যেতে দেখেছেন অনেকে। বহু ইরানি প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। শহর ছেড়ে যাওয়ার আগে নিজেদের সাজানো গোছানো ঘরের ‘শেষ ছবি’ সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন তেহরানের বহু বাসিন্দা। কিন্তু কেন?
ইজরায়েলের আক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেকেই শেষ সম্বল নিয়ে পালাচ্ছেন। যার জেরে তীব্র যানজট দেখা যাচ্ছে তেহরানের রাস্তায়। পেট্রলপাম্পে লম্বা লাইন। এর মাঝেই সেদেশে একটি হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং হচ্ছে। ‘দ্য লাস্ট ফটো অফ হোম’, অর্থাৎ বাড়ির শেষ ছবি। অনেকেই নিজেদের বাসস্থান ছাড়ার আগে এই ধরনের ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় দিচ্ছেন। কারণ তাঁরা নিশ্চিত নন যে দেশে ফিরে এসে নিজেদের বাড়িঘর অক্ষত দেখতে পাবেন কি না। যদি বোমার আঘাতে সবটা তছনছ হয়ে যায়। তিলে তিলে গড়া ভালোবাসার বাড়ি আর চোখে দেখতে পাবেন না। তাই স্মৃতি হিসাবে ছবি তুলে রাখছেন তাঁরা।
সোশাল ছবি দেওয়া এমনই একজন লিখেছেন, ‘প্রিয়জনদের কাছ থেকে পাওয়া ছোটখাটো উপহার আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়েছি। গাছগুলোতে জল দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লাম। বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কষ্ট সহ্য করাটা খুব কঠিন, বিশেষ করে আপনি যখন নিশ্চিত নন যে কখনো ফিরতে পারবেন কি না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কখনও এত দুঃখ হয়নি। জানি না আর কোনও দিন ফিরতে পারব কি না।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালায় ইজরায়েল। হামলার জেরে মৃত্যু হয় ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার এবং দুই শীর্ষ সেনা আধিকারিকের। পাশাপাশি ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিখুঁত পরিকল্পনায় হত্যা করে ইজরায়েল। তেল আভিভের দাবি, ইরান পরমাণু বোমা তৈরির খুব কাছে ছিল। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পালটা মার দিচ্ছে তেহরানও।