বারবার অ্যালার্ম স্নুজ? নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনছেন না তো?

বারবার অ্যালার্ম স্নুজ? নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনছেন না তো?

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিসের ডেডলাইন। সংসারের হাজারও দায়িত্ব। সব সামলাতে সমানে কমছে ঘুমের সময়। ভোরবেলা যেন ঘুম ভাঙতে ইচ্ছাই করে না। তার ফলে সকালে ঘন ঘন অ্যালার্ম স্নুজ। এই অভ্যাস কমবেশি আমাদের সকলেরই রয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাসের ফলে শরীরের নানা ক্ষতি হচ্ছে। তাই অবিলম্বে এই অভ্যাস ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা বিশ্বের কমপক্ষে ৫৬ শতাংশ মানুষের অ্যালার্ম স্নুজ করে ফের ঘুমনোর অভ্যাস রয়েছে। গড়ে তারা কমপক্ষে ১১ মিনিট ধরে এই কাজ করেন। তবে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট করে অ্যালার্ম স্নুজ করার অভ্যাসও রয়েছে অনেকের। গড় হিসাব ধরলে নাকি এরকম মানুষের সংখ্যাই বেশি। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, সাধারণত সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনগুলিতে স্নুজ করার মাত্রাই বেশি। আবার যাঁদের অ্যালার্ম স্নুজের অভ্যাস তাঁরা ছুটির দিনে স্বাভাবিকভাবেই জেগে যান। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, যাঁরা ৫ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমোন তাঁদের অ্যালার্ম স্নুজ করার প্রবণতা বেশি। অ্যালার্ম স্নুজের নিরিখে এগিয়ে আমেরিকা, সুইডেন ও জার্মানি। বেশ অনেকটাই পিছিয়ে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।

কেন অ্যালার্ম স্নুজ করে ঘুমনো উচিত নয়?
চিকিৎসা পরিভাষায়, ভোরের দিকে ঘুমকে ব়্যাপিড আই মুভমেন্ট স্লিপ বা আরএমপি বলে। শারীরিকের তুলনায় ওই সময়ের ঘুমের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় অনেক বেশি। তাই সেই সময় একবার ঘুম ভেঙে গেলে আর না ঘুমনোই ভালো। বারবার অ্যালার্ম স্নুজ করে ঘুমোলেও তা স্বাস্থ্যের পক্ষে তেমন উপকারী নয়। কারণ, হালকা ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুম ক্লান্তি দূরের বদলে বাড়াতে সাহায্য করে। তাতে খিটখিটে হয়ে যান অনেকেই।

তাই চিকিৎসকদের মতে,
* ঘুমোতে যাওয়ার আগে কফি বা অ্যালকোহল খাবেন না। তাতে ঘুম আসতে দেরি হতে পারে।
* শোওয়ার ঘর থেকে স্মার্টফোন দূরে রাখুন। নইলে সিরিজ, সিনেমা দেখার ফলে কিংবা স্রেফ স্মার্টফোন স্ক্রল করতে গিয়ে ঘুমোতে দেরি যায় অনেকের।
* অযথা তাড়াতাড়ি অ্য়ালার্ম দেবেন না। ঠিক যখন ঘুম থেকে ওঠা প্রয়োজন তখনই অ্যালার্ম দিন।
* অ্যালার্ম স্নুজ করে ঘুমোবেন না। যতই ক্লান্ত লাগুক না কেন ঘুম থেকে উঠে পড়াই শ্রেয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *