সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউনুস আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে একেবারে যেন গলায় গলায় বন্ধুত্ব! আভাস-ইঙ্গিত ছিল আগেই। এবার সরাসরি আকাশপথে যুক্ত হল বাংলাদেশ-পাকিস্তান। বুধবার থেকে ঢাকা-করাচি সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালুর অনুমোদন দিল ইউনুস সরকার। ‘ফ্লাই জিন্না’ এয়ারলাইন্সের আওতায় এই পরিষেবা চালু হবে। এছাড়া লাহোর, করাচি, ঢাকার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক দৃঢ় করতে পণ্যবাহী বিমানের সংখ্যা বাড়ানো হবে। পাকিস্তানের বাংলাদেশি হাইকমিশনার মহম্মদ ইকবাল হুসেন আগেই এই সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। এবার তার বাস্তবায়ন ঘটছে।
হাসিনা পরবর্তী সময়ে একদা ‘শত্রু’ পাকিস্তানের সঙ্গে সমীকরণ বদলে ‘বন্ধুত্বে’র পথে হেঁটেছে বাংলাদেশ। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের বৈদেশিক নীতি বদলেছে অনেকটা। ধীরে ধীরে কাছে এসেছে দুদেশ। সপ্তাহ খানেক আগেই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার জানিয়েছিলেন, ঢাকা-করাচি সরাসরি উড়ান চালু হওয়া সময়ের অপেক্ষা। জানা যাচ্ছে, আগামী মাস থেকে এই পরিষেবা পেতে পারেন দুদেশের নাগরিকরা। এর জন্য ‘ফ্লাই জিন্না’কে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বিমানের সংখ্যা, সময়সূচি কিছুই এখনও ঠিক হয়নি। বাংলাদেশের এয়ার ভাইস মার্শাল মনজুর কবীর ভুঁইঞা জানান, ”তারা আমাদের কাছে বিমান পরিষেবা চালু করার আবেদন জানিয়েছিল, আমরা মঞ্জুত করেছি। তাদের সুযোগ-সুবিধামতো সময়সূচি ঠিক করে আমাদের জানাবে। আমাদের দিক থেকে যা যা করার ছিল, সেসব করে ফেলা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রায় ১০ বছর পর ফের তা চালুর পথে। তবে এবার আর PIA নয়, পাকিস্তানের তরফে বিমান পরিষেবা দেবে ‘ফ্লাই জিন্না’, যা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সংস্থা এয়ার আরবিয়ার সহায়তায় চালায় পাকিস্তানের লাকসন গ্রুপ। তুলনায় এই সংস্থার বিমানভাড়া কম। ঢাকা-করাচি বিমান চালু হলে দুদেশের মধ্যে যাতায়াত বৃদ্ধি পাবে এবং সখ্য আরও দৃঢ় হবে। তলে তলে ভারত-বিরোধিতাও বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।