বাজেটে বাংলার ভাগ্যে কী জুটবে? ধোঁয়াশায় বঙ্গ বিজেপি

বাজেটে বাংলার ভাগ্যে কী জুটবে? ধোঁয়াশায় বঙ্গ বিজেপি

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: হাতেগোনা আর কয়েকদিন পরেই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হতে চলেছে। অন্যবারের মতো এবারও বাজেটে বাংলার প্রাপ্তির ভাণ্ডার শূন্যই থাকবে না কি খানিকটা পূর্ণ হবে, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে এবারেই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। শরিকি চাপ সামলে বাজেটে বড় কিছু করে তাক লাগানোর মতো সুযোগ তাঁর কাছে আর নেই বললেই চলে। আর তারপরে যেটুকু সুযোগ থাকবে তাতে তিনি দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির উপর উপুড়হস্ত হবেন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। কারণ, অতীতে তেমনটাই নজির রয়েছে। তবে, এবার চাপের মুখে পড়ে বাংলা নিয়ে বাজেটের আগে থেকেই চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। বাংলাকে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে এই অভিযোগ সামনে রেখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে সরব হয়েছে তাতে চাপের মুখে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। কেন্দ্রর বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণের খেসারত যে তাদের দিতে হচ্ছে সেই বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তুলেও ধরেছিল তারা। ফলস্বরূপ টনকও নড়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।
মাসখানেক আগেই রাজ্য বিজেপির বারো জন লোকসভার সাংসদকে তাঁদের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে কী প্রকল্পের কাজ হতে পারে, তাদের কী দাবিদাওয়া রয়েছে সেই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। সেই মতোই নিজেদের দাবি-সহ রিপোর্ট জমা দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিজেপির সাংসদরা। সাংসদদের দাবির মধ্যে উত্তরবঙ্গে এইমস হাসপাতাল তৈরি থেকে শুরু করে আয়ুষ বিশ্ববিদ্যালয়, রেলপথ-সহ একাধিক বিষয় রয়েছে।

বিজেপি সরকার দলের প্রতি ১২ জন সাংসদকে একজন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের তত্ত্বাবধানে রেখেছেন। বাংলার সাংসদরা কেউ রয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণোর তত্ত্বাবধানে। আবার কেউ পীযূষ গোয়েলের। তেমনই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর আর পাটিলের তত্ত্বাবধানে। সৌমিত্র বিষ্ণুপুরে একটি আয়ুষ বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর রেললাইন এবং তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি নিয়ে রিপোর্ট পাটিলের কাছে গত মাসেই জমা দিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবিগুলি বিবেচনা করা হবে বলে আগেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল এবং তা নিয়ে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নেওয়ার কাজও কেন্দ্র সেরে ফেলেছে বলেই সৌমিত্রর দাবি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আয়ুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি বড়। তাতে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটা দেখতে হবে। তবে, রেললাইন এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি একপ্রকার পাকা হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা, রায়গঞ্জের সাংসদ কার্তিক চন্দ্র পাল-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন সাংসদ রায়গঞ্জে এইমস তৈরির দাবি করেছেন। বাজেটে বাংলাকে কিছু দেওয়া হবে বলেই রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা এবার আশাবাদী। তাদের আশা কতটা পূরণ হবে, না কি আদৌ হবে না সেই উত্তর আগামী শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারিই মিলবে। তবে, মোদি সরকার অতীতে বাংলাকে সবক্ষেত্রেই অবহেলা করেছে, আগেরবার বাংলা থেকে ১৮ জন সাংসদ থাকা সত্ত্বেও একজনকেও পূর্ণ মন্ত্রী করা এবার ১২ জন সাংসদের মধ্যে মাত্র একজনকে প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়ার ধারায় চললে বাজেটে কেন্দ্র বাংলার ক্ষেত্রে দরাজ হস্ত হবে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই অনুমান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *