বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তায় ক্ষুব্ধ মুখ‌্যমন্ত্রী, কেন্দ্র ও অভিযুক্ত রাজ‌্যগুলিকে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি মুখ‌্যসচিবের

বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তায় ক্ষুব্ধ মুখ‌্যমন্ত্রী, কেন্দ্র ও অভিযুক্ত রাজ‌্যগুলিকে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি মুখ‌্যসচিবের

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: বিজেপি শাসিত রাজ‌্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা হেনস্থার শিকার হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ‌্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কেন্দ্রীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাজ‌্যগুলির মুখ‌্যসচিবদের চিঠি পাঠালেন মুখ‌্যসচিব মনোজ পন্থ। ওই চিঠিতে কেন্দ্র ও অভিযুক্ত রাজ্যগুলির কাছে স্পষ্ট করে উদ্বেগপ্রকাশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশায় বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা স্থানীয় একাংশের হাতে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের সুতির সভা থেকে মুখ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের লোকেদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। বাংলায় কথা বললেই পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে। আমি অনেকগুলো ঘটনার কথা শুনেছি। আমাদের লোকেদের উপর অত‌্যাচার করা হচ্ছে। অনেক অভিযোগ আমরা পাচ্ছি।’’ মুখ‌্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কেন্দ্রীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাজ‌্যগুলির মুখ‌্যসচিবদের চিঠি পাঠান মুখ‌্যসচিব মনোজ পন্থ। নবান্ন সূত্রে খবর, চিঠিতে রাজে‌্যর উদ্বেগ স্পষ্ট করে দিয়ে মুখ‌্যসচিব লিখেছেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী, যে কোনও নাগরিক যে কোনও রাজ্যে কাজ করতে যেতে পারেন। এ ধরনের ঘটনা আটকাতে প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা নেওয়ার জন‌্যও রাজ‌্যগুলিকে আবেদন করেন মুখ‌্যসচিব।

এদিন সুতির সভা থেকে মুখ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যারা অত‌্যাচার করছেন, তাঁরা মনে রাখবেন, আমাদের রাজ্যেও দেড় কোটি পরিযায়ী শ্রমিক আছে। আমরা তাদের ভালোবাসি। তাহলে তোমরা কেন তাদের ভালোবাসতে পারবে না? আমরা যদি তোমাদের ভালবাসি, তুমি কেন আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের মারবে? তোমরা কেন ভাই-বোনদের গায়ে হাত দেবে?’’ কেন্দ্রকে মমতার পরামর্শ, ‘‘আগে রাজ্যে রাজ্যে বিরোধ কমাও। এতে দেশ ভালো থাকে না। রাজধর্ম সবাইকে পালন করতে হয়। রাজনীতি সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। সেটা মাথায় রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না।’’ এদিনের সভা থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের স্থানীয়ভাবে কাজে নিয়োগ ও ঋণের সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে মুখ‌্যসচিবকে নির্দেশ দেন মুখ‌্যমন্ত্রী। ভিন রাজয়ের কর্মরত বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “ঘরে ফিরে আসুন। দরকার নেই ভিক্ষে করে খাওয়ার। আমরা বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিচ্ছি, হাতখরচা দিচ্ছি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *