স্টাফ রিপোর্টার, সিউড়ি: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাংলার অর্থনীতিকে অনেকটাই পালটে দিয়েছে’, বাংলার প্রকল্পের প্রশংসা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ডিরেক্টর সুধাংশু প্রসাদ। মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়িতে ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের নিয়ে তিনি একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে গ্রাহকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ডিরেক্টর বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সারা বাংলার ব্যাঙ্কের গতিকে পালটে দিয়েছে। সারা বাংলায় পাঁচ কোটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন লক্ষ্মীদিদিরা। সারা বছরে ব্যাঙ্কে ২৫ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ছে। তাঁদের জন্য সব ব্যাঙ্ক ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিতে প্রস্তুত। কারণ মেয়েরা কখনও ঋণখেলাপি হয় না।”
এদিন মূলত অনুষ্ঠানটি ছিল দশ বছরের পুরনো ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের জন্য ‘রি-কেওয়াইসি’ করার আবেদন নিয়ে। সেখানে একাধিক ব্যাঙ্কের তরফে বলবীর সিং, অনির্বাণ দত্ত, অঞ্জলি কুমার, প্রণব বিশ্বাস, সঞ্জীব কুমার উপস্থিত ছিলেন। ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা জানালেন, ব্যাঙ্কের তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট হয়। ঝুঁকি বহুল, মাঝারি ঝুঁকি ও কম ঝুঁকির। যারা কম ঝুঁকির, তাঁদের সংখ্যা বেশি। তাঁদের দশ বছর অন্তর অ্যাকাউন্টকে সচল করে রাখতে নিজেদের তথ্য ব্যাঙ্কে ফের জমা দিতে হয়। সারা বাংলায় এখনও ৮০ হাজার অ্যাকাউন্টের গ্রাহকের কেওয়াইসি জমা পড়েনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ডিরেক্টর জানান, এখন টাকা ছাড়া গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তাতে তাঁরা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। দু’লাখ টাকার জীবন বিমা পাবেন। অটল পেনশন, সুরক্ষা বিমা, জীবনজ্যোতি বিমার সুযোগ পাবেন। ব্যাঙ্ক কর্তা আরও বলেন, “ব্যক্তিগত কোনও তথ্য ব্যাঙ্ক ছাড়া কোথাও অ্যাকাউন্টের জন্য দেবেন না। কোনও ওটিপি কাউকে শেয়ার করবেন না। টাকা খোয়া গেলে ব্যাঙ্কে জানাবেন।”