বরাবরই মেধাবী, পাড়ার ‘শান্ত’ অনামিকা মদ্যপান করতেন, মানতে পারছেন না প্রতিবেশীরা

বরাবরই মেধাবী, পাড়ার ‘শান্ত’ অনামিকা মদ্যপান করতেন, মানতে পারছেন না প্রতিবেশীরা

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


অর্ণব দাস, বারাসত: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রাণ গিয়েছে পাড়ার মেয়ে অনামিকা মণ্ডলের। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মদ্যপ ছিলেন ওই ছাত্রী। তা মানতেই পারছেন না নিমতার ললিত গুপ্ত স্ট্রিটের বাসিন্দারা। কান্না ভেজা চোখে তাঁরা বলছেন, “ও খুব শান্ত, মেধাবী। ও মদ্যপান করত একথা মানতে পারছি না।”

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে ঝিলপাড় থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় অনামিকা মণ্ডল। ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে শোরগোল শুরু হয় সব মহলে। অনামিকার নিমতার ললিত গুপ্ত স্ট্রিটের বাড়িতে এই খবর পৌঁছতেই কলকাতায় ছুটে যান বাবা-মা। এদিকে পাড়ার শান্ত মিষ্টুর এই পরিণতি মানতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা।

প্রতিবেশীদের কথায়, “যার ঘরের মেয়ে গেছে, তার তো গেছেই। কিন্তু আমরাও ওকে খুব ভালোবাসি। বরাবরই হাসিখুশি। দেখা হলেই কথা বলত। ছোটো থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো। ওর এমন পরিণতি হতে পারে স্বপ্নেও ভাবিনি। কিছু বুঝতে পারছি না।” একজন বলেন, “ওর মতো শান্ত মেয়ে হয় না, ঘরেই থাকত। খুব একটা বেরতোও না।” অনামিকার মৃত্যুর নেপথ্যে উঠে আসছে দেদার মদ্যপানের তত্ত্ব। কিন্তু তা মানতে নারাজ প্রতিবেশীরা। তাঁদের কথায়, “ও মদ্যপান করত একথা মানতে পারছি না।” উলটে যাদবপুরের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *