বয়স ভাঁড়ানো রুখতে বড় পদক্ষেপ, অতিরিক্ত ‘বোন টেস্টে’র পরিকল্পনা বিসিসিআইয়ের!

বয়স ভাঁড়ানো রুখতে বড় পদক্ষেপ, অতিরিক্ত ‘বোন টেস্টে’র পরিকল্পনা বিসিসিআইয়ের!

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স ভাঁড়ানো রুখতে বড় পদক্ষেপের পথে বিসিসিআই। জুনিয়র পর্যায়ে অতিরিক্ত ‘বোন টেস্ট’ বা হাড় পরীক্ষার পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ডের। জানা যাচ্ছে, এই পদক্ষেপের ফলে উঠতি ক্রিকেটাররা বাড়তি সুবিধা পাবে। পুরনো পদ্ধতিতে যে ‘+১ ফ্যাক্টর’ রয়েছে, সেটাতে বদল আসতে পারে।

বর্তমানে কোনও ক্রিকেটারের বয়স নির্ণয় করার ক্ষেত্রে TW3 পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। এর পাশাপাশি পরের মরশুমে ওই একই বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য একটি ‘+১’ পরীক্ষায় বসতে হয় তরুণ ক্রিকেটারদের। নতুন নিয়মে অনূর্ধ্ব-১৬ ছেলেদের বিভাগে আরও একটি হাড়ের পরীক্ষা দিতে হবে। সেটা এতটাই উন্নতমানের যে পুরনো যে ‘+১’ নিয়ম রয়েছে, সেটির আর সে অর্থে গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।

পিটিআইকে বোর্ডের এক সূত্র বলছেন, “এই নতুন পদ্ধতিতে একেবারে সঠিক বয়স নির্ধারণ করা যাবে। তাতে কোনও প্লেয়ারের গাণিতিক হিসেবের কারণে বছর নষ্ট না হয়। বরং নতুন নিয়ম অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক।” এই ‘গাণিতিক অঙ্কের’ বিষয়টা কী? বর্তমানে ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৬ বিভাগের ক্ষেত্রে হাড়ের বয়স ধরা হয় ১৬.৫। অন্যদিকে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ বিভাগে হাড়ের বয়স ১৫ বছর। তার অর্থ, পরের মরশুমে ছেলেদের বিভাগে ১৬.৪ ও মেয়েদের বিভাগে ১৪.৯ বয়স থাকতে হবে।

নতুন পরীক্ষায় যদি ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৬ বিভাগে কোনও ক্রিকেটারের বয়স ২০২৫-২৬ মরশুমে ১৫.৪ হয়, তাহলে তাঁকে পরের মরশুমে আর কোনও পরীক্ষা দিতে হবে না। কারণ হিসেব মতো তাঁর বয়স দাঁড়াবে ১৬.৪। অর্থাৎ ওই বিভাগে সে খেলার জন্য যোগ্য। কিন্তু যদি কোনও ক্রিকেটারের হাড়ের বয়স এই মরশুমে ১৫.৫ হয়, তাহলে পরের মরশুমে তার বয়স হবে ১৬.৫। অর্থাৎ সে আর ওই বিভাগে খেলার যোগ্য নয়। একই নিয়ম মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ বিভাগেও প্রযোজ্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *