স্টাফ রিপোর্টার: প্রদেশ কংগ্রেসের একটা বড় অংশের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ছিল হাইকমান্ড এ রাজ্যে তাদের সংগঠনকে সেভাবে গুরুত্ব দেয় না। সেই আক্ষেপ কাটতে চলেছে। একটি সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসাবে কলকাতায় সফরে আসছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। বুধবার রাতে তিনি কলকাতা পৌঁছচ্ছেন। ১১ তারিখ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার একদিনের সেই সফর শেষ করে বিকেলে প্রদেশের নব নির্বাচিত পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সঙ্গে ‘গোল টেবিল বৈঠকে’ বসতে চলেছেন বেণুগোপাল। তার জন্য দক্ষিণ কলকাতার থিয়েটার রোডে একটি হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েট হল ঠিক করা হয়েছে। সেখানেই গোল টেবিলে বেণুগোপাল মুখোমুখি বসতে চান পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্যদের সঙ্গে।
শুধু ১১ তারিখ নয়, এই প্রথম একসঙ্গে এআইসিসি থেকে একগুচ্ছ নেতা ম্যারাথন বৈঠক সেরে নিতে চাইছেন প্রদেশের নবনির্বাচিত সব কমিটির সদস্যদের সঙ্গে। আসছেন দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক গোলাম মীর, কানহাইয়া কুমাররাও। প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পর গোটা রাজ্যের নেতৃত্বকে একজোট করে, পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির মতো নতুন কমিটি গড়ে, তার সঙ্গে নেতৃস্থানীয় সদস্যদের নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি করতে একাধিক সম্প্রসারিত কমিটি গড়ে নিয়েছেন শুভঙ্কর সরকার। পুজোর মরশুম শেষ হলেই বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে। তার মধ্যে প্রদেশ সভাপতি চান ২৯৪ আসনে দলের একক প্রার্থী দিতে। সেই কারণেই দ্রুত নতুন কমিটির সদস্যদের নিয়ে দলীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে চায় এআইসিসি।
এক রাজ্য নেতার কথায়, “প্রদেশ কংগ্রেসের একেবারে নিচুতলার কর্মীদের দাবি এই প্রথম জোরালোভাবে এআইসিসির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তারই ফলশ্রুতি সকল স্তরের নেতা-কর্মীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে এত বড় কমিটি। তাতে কে সি বেণুগোপাল নিজে জানিয়েছেন সকলের মুখোমুখি বসতে গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করতে। হাইকমান্ড যে বাংলার কর্মীদের কথা শুনতে চাইছে এতেই স্পষ্ট।” ১২ সেপ্টেম্বর গোলাম মীর আরেক দফায় বৈঠক করবেন পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সঙ্গে। একই দিনে প্রদেশ ইলেকশন কমিটির সঙ্গেও বৈঠক। ১৩ সেপ্টেম্বর মীর বসবেন জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, ওই দিন তৃণমূল থেকে একটি যোগদান পর্বও হতে পারে। সব কর্মসূচিই হবে বিধান ভবনে।
কিছু চমক থাকছে ১৫ সেপ্টেম্বরও। ওইদিন মধ্য কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটে রামমোহন হলে সিপিআইএমএল থেকে কিছু নেতৃত্বের যোগদান রয়েছে কানহাইয়া কুমারের উপস্থিতিতে। সেখানেও মীর-সহ থাকবেন, শুভঙ্কর সরকার, মধ্য কলকাতার সভাপতি মানস সরকার প্রমুখ। একই দিনে মধ্য কলকাতারই ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের সদর দপ্তরের কাছে বড়সড় মাপের ব্লক অফিস উদ্বোধন হবে।