সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেনার দায়ে আত্মঘাতী গোটা পরিবার! একই দিনে দু’বার এহেন মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল দেশ। মঙ্গলবার সকালে হরিয়ানায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন একই পরিবারের ৬ জন। বিকেলে কেরলের এক পরিবারের চার সদস্যও একই পথ বেছে নিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামী-স্ত্রী এবং দুই সন্তানের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে দম্পতির বাড়ি থেকেই।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম যথাক্রমে অমিল কুমার (৫৫) এবং তাঁর স্ত্রী শিজা (৫০)। দম্পতির দুই পুত্রেরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাদের বয়স কুড়ির কোঠায়। বাড়ির কাউকে বেরতে না দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তারপরেই তাঁরা ওই বাড়িতে ঢুকেছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন অনিল কুমার। সম্ভবত সেই কারণেই গোটা পরিবার আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। আপাতত তদন্ত করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে পঞ্চকুলায় একটি বন্ধ গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় একই পরিবারের ৬ সদস্যের মৃতদেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা গাড়ির ভিতর পরিবারের সদস্যদের অচেতন অবস্থায় দেখে তাঁদের উদ্ধার করেন। দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন তখনও জীবিত ছিলেন। মৃত্যুর আগে পরিবারের সেই সদস্য ঋণে ডুবে থাকার বিষয়টি জানান। মৃত্যুর ঠিক আগে তিনি বলেন, ”আর ৫ মিনিটের মধ্যে আমি মারা যাব। কারণ আমিও বিষ খেয়েছি।”
পরে জানা যায়, ব্যবসায় লোকসানের জেরে প্রায় ২০ কোটি টাকার ঋণে জড়িয়ে পড়ে পরিবারটি। বিপুল ঋণ শোধ করতে না পারায় পাওনাদারেরা লাগাতার খুনের হুমকি দিচ্ছিল তাদেরকে। তারপরেই আত্মঘাতী হয় গোটা পরিবার। কয়েকমাস আগে কলকাতাতেও ব্যবসায় লোকসানের জেরে একই পরিবারের একাধিক সদস্য আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, মৃত্যু হয় তিনজনের। বারবার কেন দেনার দায়ে এইভাবে চরম পরিণতি বেছে নিচ্ছে গোটা পরিবার, উদ্বেগ বাড়ছে মনোবিদদের মধ্যে।