সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর চারটে দিন বাঙালির বুক ভরে শ্বাস নেওয়ার আর প্রাণ ভরে বেঁচে নেওয়ার দিন। কলকাতার বিভিন্ন শপিং ডেস্টিনেশনে পুজোর এই মরশুমে থাকে উপচে পড়া ভিড়। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের ফ্যাশনিস্তা হয়ে ওঠারও এ এক মোক্ষম সুযোগ। রইল পুজোর চার দিনে পুরুষদের সেজে ওঠার টিপস।

পুজোর সাজ মানেই বাঙালির কাছে সবার আগে যা প্রাধান্য পায় তা হল ধোপদুরস্ত বাঙালি সাজ। পুজোর এই কদিন এথনিক ওয়্যারই থাকে পছন্দের তালিকায়। আপনিও যদি তেমনই চান তাহলে ট্রাই করে দেখতে পারেন ভিকি কৌশলের মতোই এই পোশাক। সাধারণত ষষ্ঠীর জন্য এই সাজ এক্কেবারে পারফেকট হবে। কারণ, এদিনই মূলত শেষ অফিস। তারপর লম্বা ছুটি পড়ারপালা। কিন্তু সারাদিন অফিস করার পর শ্রান্ত-ক্লান্ত আপনি আরামদায়ক সুতির পোশাক পড়ে ‘প্যান্ডেল হপিং’ সারতে চাইলে এরকম সুতির লুজ ফিট শার্ট ও প্যান্টে সেজে উঠতে পারেন। চাইলে সঙ্গে নিতে পারেন সুতীর স্কার্ফ।

সপ্তমীর সাজে এলিগ্যান্স ও তার সঙ্গে এথনিসিটি বজায় রাখতে ট্রাই করতে পারেন আয়ুষ্মান খুরানার এই লুক। প্যাস্টেল শেডের এই পাঞ্জাবি সঙ্গে সাদা বা প্যাস্টেল শেডের পাজামা। মানানসই জুতো, হাতে ঘড়ি সবমিলিয়ে বাঙালি কেতাদুরস্ত সাজে আপনার সপ্তমীর সাজ সম্পূর্ণ।

অষ্টমী মানেই বাঙালিয়ানা ভরপুর থাকবে আপনার সাজে। অষ্টমীর সন্ধ্যায় বিশেষ মানুষের শাড়ির সঙ্গে মানানসই ধুতি পাঞ্জাবিতে সেজে উঠতে চাইলে ট্রাই করতে পারেন নবাবপুত্তুরের ধুতি পাঞ্জাবিতে এই বাঙালি ‘বাবুয়ানা’ সাজ। তসরের ধুতি পাঞ্জাবিতে জমে যাবে আপনার অষ্টমী।

নবমীর সন্ধ্যায় জমকালো সাজে সেজে উঠতে ট্রাই করতে পারেন এরকম একটি বন্ধগলা, পাটিয়ালা শেরওয়ানি। আইভরি রঙ বা যে কোনও অন্য রঙের এইরকম পোশাকে সেজে উঠতে পারেন আপনিও নবমীর সন্ধ্যায়। যেহেতু পুজোয় ঘুরে বেড়ানোর ফাঁকে মন বলে ওঠে ‘অদ্যই শেষ রজনী’ কখনও আবার মন বলে ‘যেও না নবমী নিশি’ তাই শেষদিনে মন যেভাবে সাজতে চায় তা সম্পূর্ণ করতে হবেই। আর তাই পছন্দ মাথায় রেখে এভাবে সেজে উঠতে পারেন নবমীর জন্য।

দশমী, মায়ের বিদায়ের পালা। লাল-সাদা পোশাকেই মূলত এদিন সেজে ওঠার পালা। তবে অনেকেই সাদা বা লালের বদলে অন্য রঙ্গেরপশাক পরতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে ন্যুড প্যাস্টেল শেডের ধুতি প্যান্টের সঙ্গে পাঞ্জাবি-জহর কোর্টে সেজে উঠতে পারেন আপনি। সঙ্গে সিঁদুরখেলা মাস্ট।