সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে নিয়তি! রীতি মেনে প্রেমিকাকে প্রোপোজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নিহত ইজরায়েলি যুবক। প্রেমিকার জন্য আংটিও কিনেছিলেন। শিগগিরই বাগদান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রেমের কাহিনী অসমাপ্তই রয়ে গেল। বৃহস্পতিবার ভোরে ওয়াশিংটন ডিসির ইজরায়েল মিউজিয়ামের সামনে বন্দুকবাজের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গেলেন দূতাবাসের দুই কর্মী ইয়ারন লিসচিনস্কি ও সারা মিলগ্রিম। হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে ইলিয়াস রডরিগেজ নামে বছর তিরিশের হামলাকারী। গুলিবৃষ্টির সময় ঘনঘন তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে ‘মুক্ত প্যালেস্টাইন চাই’।
আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ঘটে গিয়েছে ভয়ংকর ঘটনাটি। মার্কিন ইহুদি কমিটির সিইও জানান, এদিন ইহুদিদের সংগ্রহশালায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের মাঝেই হামলা হয়। একজন সেখালে ঢুকে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আহত হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। ইজরায়েলি দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গুলি চলার সময় ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত সেখানে ছিলেন না। পরে দূতাবাসের তরফে নিহতদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তাঁরা ইয়ারন লিসচিনস্কি ও সারা মিলগ্রিম। সম্পর্কে একে অপরের প্রেমিক-প্রেমিকা।
আমেরিকায় নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইয়েচিল লেইটার জানিয়েছেন, লিসচিনস্কি প্রেমিকা সারা মিলগ্রিমের জন্য আংটি কিনেছিলেন। ঠিক করেছিলেন, আগামী সপ্তাহে জেরুজালেম ফিরে সারাকে প্রোপোজ করবেন। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। প্যালেস্তিনীয় ঘাতকের ইহুদি বিদ্বেষ ছারখার করে দিল যুগলকে। জানা গিয়েছে, নিহত যুবক ইয়ারন লিসচিনস্কি জার্মান-ইজরায়েলের দ্বৈত নাগরিক। তিনি মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করছেন। সেই সূত্রেই দূতাবাসে ছিলেন। তাঁর প্রেমিকা সারা মিলগ্রিম দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মী। আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিষয়ে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত। রাতভর নানা তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখে সকালে দুই নিহতের পরিচয় প্রকাশ্যে আনে ইজরায়েল হেরিটেড ফাউন্ডেশন। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে তাঁরা এই ঘটনাকে ইহুদি বিদ্বেষের প্রতিফলন বলে ব্যাখ্যা করেছেন। সর্বস্তরে এই হামলার নিন্দা করা হয়েছে।