সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকায় পড়তে যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় নয়া শর্ত চাপালো মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, কেউ আমেরিকার পড়তে যেতে চাইলে তাঁর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কোনও গোপনীয়তা রাখা যাবে না। অর্থাৎ প্রোফাইল লক করতে পারবেন না পড়ুয়ারা। ভিসা আবেদনকারীর সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে নজরদারি চালাবে মার্কিন প্রশাসন। সোশাল মিডিয়ায় পড়ুয়ার গতিবিধি খতিয়ে দেখে যদি বিদেশ দপ্তর সন্তুষ্ট হয় তবেই মিলবে ভিসা।
আমেরিকায় বিদেশি পড়ুয়াদের গতিবিধি নজরে রাখতে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাঁদের সোশাল মিডিয়ায় নজরদারি চালানোর কথা আগেই জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা নিজেদের ‘প্রোফাইল লক’ করে রাখেন। এই ঘটনা রুখতেই ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে স্টুডেন্ট ভিসায় নয়া শর্ত চাপানো হয়েছে। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন ভিসা পাওয়া কোনও ‘অধিকার’ নয়। ফলে আমেরিকায় পড়তে আসা পড়ুয়ারা যাতে কোনও রকম বিতর্কিত, উসকানিমূলক পোস্ট বা মন্তব্য না করেন তার জন্য এই পদক্ষেপ। ভিসা পাওয়ার পরও পড়ুয়াদের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পাবলিক করে রাখতে হবে। যাতে সরকারের তরফে তাঁদের উপর নজরদারি চালানো যায়। আমেরিকার নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে ঠেলতে পারে এমন কোনও গতিবিধি আটকানো যায়। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভিসার আবেদনকারীকে অবশ্যই আমেরিকার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এবং দেশের প্রবেশের জন্য যাবতীয় শর্ত মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, আমেরিকার মসনদে বসার পরই বিদেশি পড়ুয়াদের উপর কড়া নীতি নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছিলেন, “যারা আমেরিকায় আসবেন তাঁরা যাতে এখানকার নাগরিক সংস্কৃতি, সরকার, প্রতিষ্ঠান কিংবা আদর্শের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন না, তা নিশ্চিত করা হবে।” সেইমতো শুরু হয় কড়াকড়ি। গত মে মাসে বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য ভিসার উপর সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। দেশছাড়া করা হয় বহু পড়ুয়াকে। নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, পড়ুয়া যদি ক্লাসে নিয়মিত না আসেন সেক্ষেত্রে ভিসা বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে না-জানিয়ে পাঠক্রম ছেড়ে দিলে বাতিল হতে পারে ভিসা। ভারতের পাশাপাশি সব বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য লাগু হয় এই নীতি। সেই তালিকায় এবার নয়া শর্ত যোগ করল মার্কিন প্রশাসন।