সুকুমার সরকার, ঢাকা: ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার। চারদিকে সবুজঘেরা বৈসরন উপত্যকায় ২৬ জনকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়েছে জেহাদিরা। এই নারকীয় ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একযোগে লড়াই করার বার্তা দিয়েছে বহু দেশ। এই জঙ্গি হামলা কড়া নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশও। আজ শুক্রবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণে আয়োজন করা হল শোকসভার।
জানা গিয়েছে, আজকের স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মা এবং ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী। তাঁরা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এনিয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক ভারতীয় নাগরিক এবং ভারত বন্ধুরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নিহতদের শ্রদ্ধা ও তাঁদের পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পহেলগাঁও হামলার পর ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ এখনও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার বা নিকেশ করা যায়নি। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ২২ এপ্রিল দুপুরে বৈসরণ ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন। তার মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি। বাকি দুজন কাশ্মীরের বাসিন্দা। চারজনের স্কেচও প্রকাশ হয়েছে। এদের পথপ্রদর্শক হিসাবে আদিল কঠোর নামের এক জঙ্গির নামও প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এর বাইরে আর কারা যুক্ত সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ দাবি করেছে, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে লস্কর, পাক সেনা এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সম্মিলিত ষড়যন্ত্র। মলাকারী জঙ্গিরাও এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলঘেরা এলাকায় লুকিয়ে। শুধু হামলাকারীরা নয়, আরও বহু জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে। তবে মূল হামলাকারীদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে তারা। মূলত হামলাকারীদের কভার ফায়ার দেওয়ার জন্য এলাকায় অন্য জঙ্গিরা লুকিয়ে। আর মূল হামলাকারীরা দুর্গম জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার জন্য নিজেদের মতো রসদও সঙ্গে রেখেছে। বেঁচে থাকার জন্য অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে হচ্ছে না তাদের। আপাতত তারা আত্মনির্ভর।