‘পুরুষরা খালি খাবার খেয়ে উঠে যাবেন’, পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রশ্ন কঙ্কনার

‘পুরুষরা খালি খাবার খেয়ে উঠে যাবেন’, পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রশ্ন কঙ্কনার

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি ব্র্যান্ডের প্রচারে সোমবার কলকাতায় আসেন অভিনেত্রী কঙ্কনা সেনশর্মা। সেখানে প্রচারের অঙ্গ হিসাবে শিশু-কিশোরদের পরিচ্ছন্নতার পাঠ পড়ানোর বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন অভিনেত্রী। সেখানেই ‘প্রচলিত’ পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে আরও একবার প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে এই বিষয়ে তিনি একাধিকবার সরব হয়েছেন।পাশাপাশি মা তথা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেনের এক বিশেষ স্বভাবের কথাও দর্শকদের সামনে প্রকাশ করেন কন্যা কঙ্কনা।

এদিনের অনুষ্টানে সমাজের পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেত্রী কঙ্কনা। বলেন, “আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে মহিলারাই রান্নাঘরের কাজ করবেন, বাড়ির পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করবেন। পুরুষরা খালি খাবার খেয়ে উঠে যাবেন। থালাটিও পরিষ্কার করেন না! এই বিষয়টা নিয়ে আমার ঘোর আপত্তি রয়েছে। আমি নিজে নিজের সমস্ত কাজ করতে পছন্দ করি এবং ছেলেকেও সেই শিক্ষা দিচ্ছি। পরিচ্ছন্নতা বিষয়টা কখনও নারীকেন্দ্রিক হতে পারে না। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের তা মানা উচিত।” এভাবেই নিজের মতের সপক্ষে বক্তব্য রাখলেন কঙ্কনা।

এরসঙ্গে শৈশবের স্মৃতি হাতড়ে এদিন কঙ্কনা জানান, পরিচ্ছন্নতা এবং নিজেকে সাজিয়ে রাখার ব্যাপারে এক অদ্ভূত নৈপুণ্য ছিল অপর্ণা সেনের। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে বা ফেরার পর অভ্যাসমাফিক একটি নির্দিষ্ট রুটিন তিনি ফলো করতেন। কঙ্কনার কথায়, “মা যখনই বাড়ির কাজ করতেন তখনই নিপুণভাবে সেগুলো সমাধা করতেন। এবং পরিচ্ছন্নতা মেনে সব কাজ করতেন। মা বাইরে কাজে বেরোনোর আগে এবং কাজ থেকে ফিরে যেভাবে পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতেন তা আমাকে মুগ্ধ করত। তাঁর বাইরের কাজের তুলোনায় ঘরের কাজের প্রতি আমার বেশি নজর থাকত। এছাড়া মা আমার ওপর বাড়ির বাজার, ধোপার হিসাব রাখার ভার দিয়েছিলেন। ছোটবেলায় এই দায়িত্ব গুলো পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হত। এখন মনে হয় মায়ের এই শিক্ষা গুলোই আমাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। তবে শুধু মা নয় এব্যাপারে আমি আমার বাবার থেকেও অনেক কিছু শিখেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার ছেলের বয়স এখন চোদ্দ বছর। আমি নিজের ছোটবেলা থেকে আমার মায়ের কাছে যা কিছু ভালো অভ্যাস শিখেছি সেই সবই ছেলেকে শেখানোর চেষ্টা করি। আমার মা একাধারে একজন পরিচালক, অভিনেত্রী, সম্পাদিকা এবং সেই সঙ্গে তিনি একজন গৃহকর্মে পটু মাও বটে। ছোট থেকে দেখেছি মা একই সঙ্গে ঘর বাইরে দুটোই সামাল দিচ্ছেন। তিনি নিজে খুব ভালো রান্নাও করেন।” পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কীভাবে নিজেকে একজন সফল ব্যক্তিত্ব হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেই উদাহরণই এদিন কঙ্কনা সর্বসমক্ষে তুলে ধরেন।

 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *