ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পুজোর আগেই সাংগঠনিক রদবদল তৃণমূলে। শনিবার হাওড়া গ্রামীণ, হুগলির শ্রীরামপুর, আরামবাগ, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে সংগঠন ঢেলে সাজানোর ঘোষণা করা হয়েছে। শাসকদলের যুব, মহিলা, শ্রমিক ও মূল সংগঠনে ব্লক ও টাউন স্তরে নতুন প্রেসিডেন্টদের বেছে নেওয়া হল। এদিন সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে সেকথা জানাল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। হাওড়া গ্রামীণের মোট ৮ টি টাউন ও ব্লকস্তরে রদবদল হয়েছে। পোস্টে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বিদায়ীদের অবদানের জন্য ধন্যবাদজ্ঞাপন করেছে শাসকদল।
ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনের আমূল বদলের পথে হেঁটেছে রাজ্যের শাসকদল। সেই কাজ সাফল্যের সঙ্গে করার লক্ষ্যে প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টার্গেট একটাই। একুশের চেয়ে আরও বেশি আসনে দলকে জয়যুক্ত করা। সেই কারণে বেশ কিছু জেলাস্তরের সমস্ত স্তরে রদবদল করা প্রয়োজন বলে মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব। পুজোর পরপর নতুন কমিটি ঘোষণা করে নির্বাচনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে তৃণমূল, তেমন ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু উৎসবের জন্য কাজে কোথাও বিলম্ব নয়, এই নীতিতেই বিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাই মহালয়ার আগেই কয়েকটি সাংগঠনিক জেলায় নতুন ব্লক ও টাউন সভাপতিদের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল।
এদিন সন্ধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে হাওড়া গ্রামীণ, হুগলির শ্রীরামপুর, আরামবাগ, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে যুব, মহিলা, শ্রমিক ও মূল সংগঠনে ব্লক ও টাউন স্তরে রদবদলের কথা জানানো হয়েছে। কারা নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন, সেই তালিকাও পোস্ট করা হয়েছে এক্স হ্যান্ডলে। আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, পারফরম্যান্স, গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতেই নেতাদের পদে আনা হবে। সেক্ষেত্রে ‘কাজের লোক’ই অগ্রাধিকার পাবেন। এবং এক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তা সবাইকে মেনে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জয়ের লক্ষ্যে। এবার পুজোর আগেই নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ায় আগামীর পরিকল্পনা সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।