স্টাফ রিপোর্টার: দেদার খুশি, উৎসব, হই-হুল্লোড়। তবে পুজোর যাবতীয় আনন্দের রং আরও গাঢ় হয় এই আনন্দের সঙ্গে ভুরিভোজের আয়োজনে। পুজোর কয়েকটা দিন আমজনতা জমিয়ে পেটপুজোয় ব্যস্ত থাকেন। যে যার সাধ্যমতো রোজকার ভোজের মেনুতে বদল হয়। তেমনই পুজোর আনন্দ দিতে সংশোধনাগারের বন্দিদেরও স্বাদবদলের ব্যবস্থা হয়। এবার উৎসবের দিনগুলিতে কয়েদিদের পাতে বিরিয়ানির সঙ্গে থাকছে চিলি চিলেন, ফ্রায়েড রাইসও। সকালের জলখাবারের মেন্যুতে লুচি-পুরিও রয়েছে।
জেলের চার দেওয়ালে ঘেরা বন্দি জীবন। বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন। শহরে এখন উৎসবের মরশুম। মহালয়া থেকে ঢল নেমেছে রাস্তায়। রবিবার, ষষ্ঠীতে দেবীবোধন। রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতেও আজ থেকে পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, এবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দিরা একতার বার্তা দিচ্ছেন। এবার পুজোর থিম ‘ইউনিটি অ্যান্ড ডাইভারসিটি’। থিম ভাবনা থেকে মণ্ডপসজ্জা – সব নিজে হাতে করেছেন বন্দিরাই।
প্রতিবছর পুজোর চারদিন সংশোধনাগারে মেনুতেও বদল আনা হয়। এবারও পুজোর কটা দিন কয়েদিদের পাতে সুস্বাদু সব পদ থাকছে। জেল সূত্রে খবর, লাঞ্চ থেকে ডিনার – পুজোর চারটি দিন তাঁদের জন্য নানারকমের মেনুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সপ্তমীর দুপুরে মাছ-ভাত-সবজি। রাতে থাকছে চিকেন কারি। পুরি-সবজি দিয়ে শুরু হবে অষ্টমীর সকাল। দুপুরে খিচুড়ি, লাবড়া। রাতে লুচি আর সবজি। নবমীর দুপুরে ভাত, ডাল, পটল চিংড়ি। রাতে চিকেন বিরিয়ানি। দশমীর দুপুরে পাতে থাকছে কাতলা। রাতে ফ্রায়েড রাইস ও চিলি চিকেন। নিরামিষাশীদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। তাঁদের জন্য ভেজ বিরিয়ানি, পনির, দই, আইসক্রিমের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া পুজোর চারদিন সকলে যাতে মিষ্টিমুখ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও থাকবে। প্রাতঃরাশে থাকছে চাউমিন, ডিম টোস্টও। নবমীতে প্রাতঃরাশে চায়ের সঙ্গে মিলবে ডিম টোস্ট। দশমীতে চাউমিন।