পিকনিকের পর ডিঙি নৌকোয় দাপাদাপি ছাত্রদের! অসতকর্তার বলি শিক্ষক, নিখোঁজ ১

পিকনিকের পর ডিঙি নৌকোয় দাপাদাপি ছাত্রদের! অসতকর্তার বলি শিক্ষক, নিখোঁজ ১

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


ধীমান রায়, কাটোয়া: এক ছাত্রের জন্মদিন উপলক্ষে দিঘির পাড়ে পিকনিকে গিয়েছিলেন এক শিক্ষক-সহ বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। দিঘিতে মাছ ধরার জন্য ছিল একটি টিনের তৈরি ডিঙি। খাওয়া দাওয়া সেরে ওই ডিঙিতে চড়াই কাল হল! ডিঙিতে উঠে পুকুরের মাঝামাঝি গিয়ে রীতিমতো দাপাদাপি শুরু করে ছাত্ররা। আর চূড়ান্ত অসতর্কতার ফলেই উল্টে গেল ডিঙি! বাকিরা সাঁতরে প্রাণ বাঁচাতে পারলেও তলিয়ে গেলেন শিক্ষক-সহ দুজন। মৃত্যু হয়েছে শিক্ষকের। রবিবার বিকেলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পানুহাটের বনদিঘির পাড়ের কাছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। যান কাটোয়া ১ বিডিও ইন্দ্রজিৎ মারিক।  

জানা গিয়েছে, কাটোয়া থানার পানুহাটে বনদিঘির পাড়ে হারগাছা নামে বড়সড় পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরে লিজে মাছ চাষ করেন স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ হালদার। তাঁরই ছেলে শিবম একাদশ শ্রেণির ছাত্র। কয়েকদিন আগে শিবমের জন্মদিন ছিল। জানা যাচ্ছে, শিবমের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এদিন বনদিঘির পাড়ে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল কোচিং সেন্টারের তরফে। পিকনিকে শিবমের কয়েকজন সহপাঠী, গৃহশিক্ষক কাটোয়ার মুস্থুলি গ্রামের বাসিন্দা সুমন্ত ঘোষাল-সহ ৯ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নদিয়া জেলার নবদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা নির্মল রায়ও।

ঘড়ির কাঁটায় বিকেল তখন সাড়ে চারটে। খাওয়া দাওয়ার পর একসঙ্গে সবাই গল্পগুজব করছিলেন। তারপর সুমন্তবাবু, নির্মল রায়-সহ ছয়জন ডিঙিতে চড়েন। বাকি তিনজন চড়েননি। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছোট ডিঙিতে চড়ে ছয়জন মিলে পুকুরের প্রায় মাঝামাঝি চলে যায়। সেখানে গিয়ে ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে মজা করে রীতিমতো দাপাদাপি শুরু করে। তাতেই ডিঙি উলটে তলিয়ে যায় সকলে। চারজন সাঁতরে উঠে পড়ে। কিন্তু উঠতে পারেননি সুমন্ত ও নির্মল। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণের তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে সুমন্তের দেহ। তবে এখনও মেলেনি নির্মলের। পুকুরে চলছে তল্লাশি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *