- পিনাকী সেনগুপ্ত
তখন আমি বেশ ছোট। ছোটমোটো কোনও ক্লাসেই পড়ি। পাগলার সঙ্গে আমার পরিচয় তখনই। একটা বড় বাংলা সাইকেলের হাতলে দুটো বাজারের ব্যাগ ঝুলিয়ে মাঝে মাঝেই এসে বেল বাজাত সে।
আবার মাঝে মাঝে অনেকদিন আর তাকে দেখাই যেত না। তখন ভাবতাম এমন অনিয়মিত উপস্থিতিই হয়তো তার অমন নামের কারণ। না হলে তাকে পাগলা বলার আর অন্য কোনও কারণ কিছুতেই চোখে পড়ে না। উপস্থিতির এই বেনিয়মের কারণটা যদিও পরবর্তীতে আমার কাছে পরিষ্কার হয়।
ছোট থেকে পাগলাকে যে রূপে দেখে এসেছি এখনও ঠিক সেভাবেই দেখি। পরনে সাদা থেকে লাল হওয়া স্যান্ডো গেঞ্জি এবং হাঁটুর ওপরে তোলা লুঙ্গি। ঠোঁটের একপাশে খুব কম সময়ের ব্যবধানে বারবার বিড়ি নজরে আসে। লুঙ্গির কোচরে বোতাম টেপা মোবাইলটা না দেখলে হয়তো বলতাম আধুনিকত্বের বিন্দুমাত্র ছাপ পাগলার মধ্যে নেই।
পাগলার বাংলা সাইকেলের হাতলের দু’দিকে দুটো ব্যাগ ঝোলানো থাকে। ছোটবেলায় পাগলা বাড়িতে এলেই আমরা দৌড়ে যেতাম পাগলার ডানদিকের হাতলে ঝোলা ব্যাগটা দেখতে। সেই ঝোলাতেই থাকত পাগলার সারাদিনে সংগ্রহ করা সম্পত্তির বড় অংশ।
উত্তরবঙ্গের তোর্ষা চা বাগানের, তোর্ষা নদীর পাড়ে, ছোট মেচিয়া বস্তি এলাকার, এক অভিজ্ঞ, মেচিয়া মৎস্যশিকারি হলেন এই পাগলা। তার ভালো নাম থাকলেও থাকতে পারে, তবে লোকে তাকে পাগলা বলেই ডাকে এবং সে নিজেও তার নাম পাগলাই বলে থাকে।
আর পাঁচটা মাছওয়ালার থেকে পাগলা বরাবরই একটু আলাদা। অন্যান্য মাছওয়ালারা সাধারণত সকাল সকাল হাঁড়ি ভরে চালানের রুই, কাতলা, বাটা, বোয়াল জাতীয় মাছ নিয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে হাঁক পারত। তবে পাগলা এসমস্ত মাছওয়ালাদের গতে বাঁধা নিয়ম ভেঙে মাছ বিক্রির এক নিজস্বই সময় সৃষ্টি করেছিল। ভরদুপুরে গৃহস্থের লোকজন যখন দরজা-জানলা আটকে একটু ঘুমের চিন্তা করছে বা ঘুমিয়েই পড়েছে, ঠিক সে সময়ই ঘরের বাইরে অনবরত বেজে যাবে বিরক্তিকর একটা সাইকেলের ঘণ্টী। মেঘরাজ কাকা বলতেন, ‘ওটা ঘণ্টী নারে, পাগলা ঘণ্টী।’ ঠাকুমা বলতেন, ‘ওই যে পাগলা মাছ ধরে, মাছ খেয়ে, এবার মাছ বেচতে এসেছে।’
পাগলার বাঁদিকের ঝোলায় থাকত মাছ ধরার জাল আর ডানদিকের ঝোলায় থাকত তোর্ষা নদীর তাজা বোরোলি মাছ। জন্মদিনের উপহার যেমন রঙিন কাগজে মোড়ানো থাকে, পাগলাও তার মাছগুলিকে ঠিক তেমনভাবেই কোনও এক নাম না জানা সবুজ জংলি পাতা দিয়ে মুড়িয়ে, আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করে রাখে। প্রতিটি ভাগে আনুমানিক আড়াইশো গ্রাম করে বোরোলি মাছ থাকে বলে পাগলা দাবি জানায়।
নিজের শিকার করা বোরোলি মাছের উপর আবার পাগলার অগাধ বিশ্বাস। তাই হয়তো এমন অসময়ে এসে পুরো মাছের ব্যাগ খালি করেই বাড়ি ফিরত সে। দামের ব্যাপারেও পাগলার সিদ্ধান্ত ছিল চূড়ান্ত। পাগলা নিজে যে দাম মনস্থ করে আসত, তার থেকে এক পয়সা কম কিংবা এক পয়সা বেশি দিয়ে সে মাছ বেচত না। আর স্বাদের ব্যাপারে কোনও কথা উঠলেই পাগলা তার অদ্ভুত ধরনের বাংলা ভাষায় বলত, ‘একদম ফেস মাস আসে মাসি, পাগলা বাসি বইরালি ব্যেসে না। মাস খাউ, কাকাকে পরে পয়সা দিতে বৈলো।’ বয়সের তারতম্য বিচার না করে যে পাগলা সকল স্ত্রীলোককে মাসি এবং পুরো পুরুষ জাতিকেই কাকা বলে সম্বোধন করে থাকে, সে কথা আমাদের অজানা ছিল না। মুশকিল হয়েছিল সেবার যেবার নৈহাটির সেজো মাসির বড় চুলওয়ালা ছেলে, মৃদুলদাকেও পাগলা মাসি বলে ডেকে বসে। পাগলার মাসি সম্বোধনের খুব পরে পরেই মৃদুলদা তার বহুবছরের পোষা লম্বা চুল ছেঁটে ছোট করে দিয়েছিল। মৃদুলদার জীবনে পাগলার এই অবদান সেজো মাসি এখনও ভোলেননি।
আমি যদিও পাগলাকে মনে রেখেছি বোরোলি মাছের ইতিহাস জানার পরে। যে জিনিস মানুষ হাতের কাছে পায় তাকে গুরুত্ব দিতে মানুষের সময় একটু বেশিই লাগে বোধহয়। হাতের কাছে বরাবর পাগলা বোরোলি এনে দেওয়ার ফলে বোরোলির গুরুত্ব বুঝতে আমারও খানিক বেশি সময় লেগে যায়। দক্ষিণবঙ্গের বাজারে বোরোলি কেজিপ্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা শুনে বোরোলি মাছের প্রতি আমার সম্মান বৃদ্ধি পায়। সামান্য কালোজিরে, কাঁচালংকা ফোড়ন দিয়েও বোরোলি অনায়াসে ইলিশকে দশ গোল দিতে পারে। মনে মনে ভাবলাম এমন রুপোর মতো মাছটা সত্যিই প্রচারের অভাবে দিনে দিনে তামাটে হয়ে গিয়েছে।
এসব ভাবনার বেশ কিছু সপ্তাহ পরে একদিন বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে মধুরাম ওরাওঁয়ের সঙ্গে দেখা। মধুরাম এই গ্রামেরই কমবয়সি এক আদিবাসী ছেলে, এই বয়সেই খুব ভালো মাছ ধরে সে। বর্ষাকালের সন্ধ্যায় নদীর তাজা মাছ ভাজা খাওয়ার লোভ সামলাতে না পেরে মধুরামের থেকে একভাগা মাছ কিনে বসি তখনই। তবে পকেটের পয়সা না থাকায় মাছ সহ মধুরামকে নিয়ে চললাম বাড়ির দিকে। এমন সময় পথে দেখা হল পাগলার সঙ্গে। মধুরামের মাছ ভালো হতে পারে, তবে সেসব নদীর মিশালি মাছ, সেখানে বোরোলির দেখা পাওয়া পুরোটাই ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। তাই ভাগ্যের উপর বিশ্বাস না রেখে পাগলাকে ডেকে বললাম, ‘কাকা বইরালি হবে?’
ঠোঁটের বিড়িটা দাঁতে চেপে ‘না!’ বলে স্টিম ইঞ্জিন-এর মতো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে গেল পাগলা। আমার পাশে হেঁটে চলা মধুরাম পাগলাকে দেখে হেসে বলল, ‘ও আর কী মাছ দেবে!! ও যা মাছ ধরে তার আধার বেশি তো আবার জলেই ছেড়ে দেয়। না হলে পাগলা আজ কত বড়লোক হয়ে যায়!! এইজন্যই তো পাগলা বলে ওকে।’
মধুরামের মুখে পাগলার এই বর্ণনা শুনে সেদিন আমি বেশ আশ্চর্য হয়েছিলাম। মধুরামকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘মাছ ছেড়ে দেয় কেন?’
‘মধুরাম তার সহজ মনে উত্তর দিয়েছিলো, ‘আরে পাগলা তো।’ এর বেশি উত্তরের আশা আর সেদিন রাখিনি। তবে প্রশ্নটা মনে থেকেই গেছিল।
এরপরে বেশ অনেকদিন কেটে গেছে, পাগলাকে এর মাঝে আর কোথাও দেখিনি। সেদিন পঞ্চায়েত দপ্তরের রাস্তা মাপার কাজে আমাকে যেতে হল নদীপাড়ের ছোট মেচিয়া বস্তি এলাকায়। সরকারি রাস্তার শেষ সীমানার থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে, সবুজ ধানখেতের মাঝে, একটা ছোট্ট কুঁড়েঘরের চাল দেখা যাচ্ছিল। ঘরের বাইরে ভাঙাচোরা পাটকাঠির বেড়ায় হেলান দিয়ে দাঁড় করানো বাংলা সাইকেল এবং তাতে ঝোলা ব্যাগ দেখে আমার পাগলার কথা মনে পড়ে গেল। ঘরের দিকে এগিয়ে যেতেই দেখি উঠোনের মধ্যে লুঙ্গি পরে উবু হয়ে বসে একমনে বিড়ি টানতে টানতে পাগলা লম্বা লম্বা জংলি পাতায় মাছ ভাগ করছে। অন্যদিকে, সেই নিতান্তই জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরের বারান্দায় বসে পাগলার স্ত্রী উনুনে কী যেন রান্না করছে এবং সঙ্গে সঙ্গে সাংসারিক অবহেলার কারণে পাগলাকে বকাবকিও করছে। যদিও পাগলা সেদিকে কর্ণপাত না করে নিজের মনে মাছ ভাগ করেই চলেছে।
আমার আকস্মিক আগমনে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সাময়িক কর্মবিরতি নিল। পাগলা ঠোঁটের বিড়ি সরিয়ে একমুখ হাসি নিয়ে বলল, ‘কাকা আইসিস!! বস বস’ এই বলে একটা কাঠের গুঁড়ি আমার দিকে এগিয়ে দিল। পাগলার বৌ আগে মাঝেমধ্যে পাগলার সঙ্গে হাটের দিনে মাছ বেচতে আসত। তাই আমার পরিচয় তাকে আলাদা করে দিতে হয়নি।
পাগলার স্ত্রীকে ‘কেমন আছ?’ জিজ্ঞেস করায় তিনি ঠিক কারখানার মেশিনের মতো একের পর এক অভিযোগ শোনাতে লাগলেন পাগলার বিরুদ্ধে।
আমাকে প্রায় টেনে নিয়ে গিয়ে দেখালেন কুঁড়েঘরের চাল ফুটো হয়ে কেমন আকাশ দেখা যায়, ঘরের দরজা কীভাবে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়, ছেঁড়া জামাকাপড় দিয়ে কীভাবে শরীর আগলে রাখতে হয়। বললেন, ‘এ সবকিছু হইছে এই পাগলাটার জন্য। মাছ ধরবি তো মন লাগায়ে মাছ ধর, না হইলে অন্য কাজকাম কর। জনার্ধন কে দ্যাখ, মাছ ধরা বাদ দিয়া, ঘরে ঘরে ভাঙাচুরা বেইচে পাকা ঘর তুলতেছে, ওর ঘরে কল আছে আলো আছে, গায়ে দেওয়ার জামা আছে। পাগলার স্ত্রীর কথাগুলো কানে লাগল বটে, তবে অভিযোগগুলো যে মিথ্যে নয় সে আমি ঘর দেখেই বুঝতে পারছি। খানিকক্ষণ সবাই নিশ্চুপ, পাগলা নিজের মনেই মাছ ভাগ করে চলেছে। আমি যেন কী একটা বলতে যাচ্ছি ওমনি পাগলার স্ত্রী নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে বললেন, ‘মাছ যখন ছাইরেই দিবি, তখন মাছ ধরিস কেন? নিজের প্রাণ বাঁচানোর বুদ্ধি নাই মাছের প্রাণ বাঁচায়।’ পাগলা এবার অনেকখানি বিরক্তির সঙ্গে বিড়িটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলে ‘চুপ যা পাগলি, বুঝিস না কিসুই, খালি কথা। যা গা ছাগলটার ঘাস নিয়ে আস।’ পাগলার স্ত্রী মুখ ভার করে একটা কাস্তে হাতে বেরিয়ে পড়ল ছাগলের ঘাস নিতে।
আমার মধুরামের কথা মনে পড়ে গেল। সত্যিই তো ছেলেটা ঠিকই বলেছিল। পাগলার বৌ ও তো সেই এক কথাই বলল। আমি এবার কাঠের গুঁড়িটা টেনে পাগলার মুখোমুখি বসলাম। বললাম, ‘কাকা কী করছ তুমি এসব? সেদিনও শুনলাম মধুরামের কাছে যে তুমি মাছ ধরে ছেড়ে দাও, আজ কাকিমাও তাই বলল।’ পাগলা আমার দিকে তাকিয়ে একগাল হেসে বলে, ‘উর কোথা ছাড়, বৌটা পাগলি আসে।’ পাগলার অহেতুক এমন পাগলামিতে আমারও এবার মাথাটা গরম হয়ে গেল। বোরোলি সম্পর্কে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে খানিকটা পাগলাকে দিয়ে বসলাম। বললাম, ‘তুমি জানো তুমি কী মাছ ধরছ? বোরোলি মাছ ইলিশের সমান, একে উত্তরের ইলিশ বলে। জ্যোতি বসু, প্রণব মুখোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গায়ত্রী দেবী কত নাম করা লোকজন উত্তরবঙ্গের এই মাছ খেয়ে যেতেন। কলকাতার বাজারে পনেরোশো টাকা করে বিক্রি হচ্ছে আর তুমি এখানে মাছ ধরে ধরে ছেড়ে দিচ্ছ? মাছ না ধরলে তবে অন্য কাজ করো।’
পাগলা এবার মাটি থেকে উঠে দাঁড়িয়ে একটা বিড়ি ধরিয়ে নদীর দিকে দেখিয়ে বলল, ‘কাকা আমার দাদু যখন বইরালি ধরত তখন নুদী ওই যে ওই খানে সিলো। এখন তো নুদী খাইতে খাইতে এখানে আইসে পড়সে। তোর দাদুও দেখসে, আমি তো তোর দাদুকেও মাস দিসি। ওই সময়ের বইরালি চকচক করতৃ হিরার মতোন। এখনের গুলা দেখিস না প্যাট গুলান হলুদ থাকে। ভুটানে নুদীতে বাঁধ দিসে, জলে কত নুংরা ফেলসে, কারেন্ট লাগায়ে মাস ধরসে। এরমে সব বইরালি পালায় যায়। বইরালি মাস খুব লোজ্জা পায় তে কাকা, খুব আদুরে রাখতে হয় উদের। নুংরা জলে বইরালি থাকতে পারে না। ওর শ্বাস নিতে সাফা জল লাগে। আগের মাসের মতো এখন কি আর টেস্ট পাস? না হইলে তুর্ষার বইরালির টেস্ট সবার থেকে বেশি। তিস্তার জল তো চঞ্চল, অ্যাসিডও বেশি। আর তুর্ষায় জল কত শান্ত, ভুটানের ডুলোমাইট ধোয়া জল, এই জলে ক্ষার থাকে। মাসও মিষ্টি হয়, কি সুন্দুর গন্ধ হয়।’
একটু বিরতি নিয়ে নিভে যাওয়া বিড়িটাকে আবার জ্বালিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে পাগলা বলে, ‘আমি তো লেখাপড়া শিখি নাই। তিন বসর বয়স থেকে খালি মাস ধরাই শিখছি। শুধু বইরালি ধরসি। অন্য কাজ তো আর পারি না।’
আমি বললাম, ‘ধরছ যখন তখন আবার ছাড়ছ কেন? ভালো বাজারে গিয়ে, রোজ ভালো দামে বিক্রি কর। কত দাম পাবে তুমি ভাবতে পারছ না।’
পাগলা হেসে বলে, ‘কাকা বইরালি বেশি নাই রে। ওটা রাজা মাস, খুব কম আছে দুনিয়ায়। নুদীর জিনিস যদি আমরা সব খাইয়ে নিই, নুদীও তো আমাদের একদিন খাইয়ে নিবে রে। বইরালি আর আসবে না। উকে যত্ন করে রাখতে হয়। যতটা দরকার অতটা নিয়ে, বাকি ছাইরে দিলে বইরালি শেষ হবে না।
আট ভাগা মাস ধরি, আমরা দুইটা লুক, একভাগা বইরালি লাগে। আর সাত ভাগা বেচে দি। দুই মুঠা চাল, এক মুঠা বিড়ি, এক ভাগা বইরালি সবই তো আছে রে। পয়সা দিয়া বইরালি কিনা যায় রে কাকা, কিন্তু পয়সা দিয়া কি বইরালি বানান যায়?’
পাগলার প্রশ্নের কোনও উত্তর ছিল না আমার কাছে। লোকে যাকে পাগল বলে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে, সেই মানুষটাই প্রতিদিন প্রকৃতির জন্য খেটে চলেছে।
উত্তরের অলিখিত মাছের রাজা যদি বোরোলি হয়ে থাকে, তবে উত্তরের সেই অলিখিত মাছের ভগবান হলেন পাগলা।