সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে পাকিস্তান। তার জেরে এয়ার ইন্ডিয়ার অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান হতে পারে! সূত্রের খবর, টানা একবছর যদি পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকে ভারতীয় বিমানের জন্য, তাহলে বিপুল ক্ষতি হবে এয়ার ইন্ডিয়ার। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে একাধিক উড়ান সংস্থা।
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় ভারতের আন্তর্জাতিক বিমানের বিকল্প পথে যাতায়াত ছাড়া উপায় থাকছে না। সেই কারণেই প্রত্যেক আন্তর্জাতিক উড়ানে অতিরিক্ত দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে। উড়ানের খরচও বাড়ছে লাফিয়ে। সব মিলিয়ে সপ্তাহে খরচ বাড়ছে ৭৭ কোটি টাকা। মাসের হিসাবে প্রায় ৩০৬ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দুই দেশের দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকলে বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক বিমানের ভাড়া বাড়াবে উড়ান সংস্থাগুলি।
সূত্রের খবর, উড়ানের খরচ বেড়ে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে এয়ার ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারের মতো একাধিক বিমান সংস্থা। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের কাছে সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, পাক আকাশসীমা বন্ধের বড়সড় প্রভাব পড়েছে। বিকল্প কোন পথে গেলে খরচের বোঝা কমতে পারে সেই নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রের কাছেও পরামর্শ চেয়েছে তারা। সূত্রের খবর, গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। উড়ান সংস্থাগুলির সমস্যা সমাধানের চেষ্টাও চলছে। যদিও সরকারিভাবে এই বৈঠকের কথা জানানো হয়নি কোনও পক্ষের তরফে।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। একজন স্থানীয় ছাড়া সকলেই জম্মু ও কাশ্মীরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক। তদন্তে উঠে এসেছে, নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে দিল্লি। যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা, দূতবাসের কর্মী কামানো ইত্যাদি। পালটা ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলিকে নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।