নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে কেন্দ্রের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল যাচ্ছে দেশে-দেশে। এই প্রতিনিধি দলে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রত্যক্ষদর্শী বা সেনা আধিকারিক বা শহিদদের পরিবারের সদস্যদের থাকা উচিত ছিল। তাঁদের চেয়ে ভালো কেউ দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না। মত তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার রাতে সংসদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান তিনি।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের কথায়, “প্রতিনিধিদল যদি পাঠানো হয় তাহলে শহিদদের পরিবার বা যারা বেঁচে ফিরেছেন তাঁদের পাঠানো উচিত। আমাদের সেনাবাহিনীর বীর অফিসাররা যাঁরা সামনে থেকে অপারেশন সিঁদুরে নেতৃত্ব দিয়েছেন, রাতের পর রাত যাঁদের অতন্দ্র প্রহরায় গোটা দেশ নির্ভয়ে ঘুমোতে পারে তাঁদের পাঠানো উচিত।” তিনি আরও বলেন, “এঁদের থেকে ভালো আর কেউ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে কে? পাকিস্তান কী করেছে তা এঁরাই সবচেয়ে ভালো করে তুলে ধরতে পারবেন। পাকিস্তানের দুষ্কর্ম গোটা পৃথিবীর জানা উচিত।”
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দরবারে সন্ত্রাসের প্রমাণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে সর্বদলীয় এক প্রতিনিধি দল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে সাংসদ, মুখপাত্রদের নিয়ে তৈরি এই দল বিভিন্ন দেশে ঘুরে বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের মুখোশ খোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত। সেই দলে তৃণমূলের তরফে বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের নাম দিয়েছিল কেন্দ্র। এই মর্মে ইউসুফকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তারপরই অবশ্য তৃণমূলের তরফে তাঁর নাম প্রত্যাহার করা হয়। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “এটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা উচিত নয়, যে তৃণমূল অপারেশন সিঁদুর বয়কট করেছে। আমরা এটি বয়কট করিনি। প্রতিনিধিদল নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বিজেপি কীভাবে ঠিক করতে পারে তৃণমূল থেকে কে যাবে? এটা স্থির করবেন সংশ্লিষ্ট দলের নেতৃত্ব। আমরা চাইলে এই প্রতিনিধিদলে ৫ জনকেও পাঠাতে পারি। কেন্দ্রেরও উচিত ছিল, সদিচ্ছা দেখিয়ে সমস্ত বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা। তারা আমাদের বলতে পারত প্রতিনিধি নির্বাচন করে দেওয়ার জন্য, আমরা করে দিতাম।” একই কথা শোনা গিয়েছে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও।