সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর ভারত যেমন একাধিক পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানও তেমনই তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। এই অবস্থায় দিল্লি এবং উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে ওড়া আন্তর্জাতিক বিমানগুলিকে বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এর জন্য মোটের উপর সময় লাগছে দেড় ঘণ্টা বেশি। বাড়ছে জ্বালানির খরচ। একটি হিসাবে পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলির সপ্তাহে খরচ বাড়ছে ৭৭ কোটি টাকা।
২২ এপ্রিল পহেলাগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। একজন স্থানীয় ছাড়া সকলেই জম্মু ও কাশ্মীরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক। তদন্তে উঠে এসেছে, নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে দিল্লি। যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা, দূতবাসের কর্মী কামানো ইত্যাদি। পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমাও বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দিল্লি। পালটা ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলিকে নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
এই অবস্থায় দিল্লি এবং উত্তর ভারতের শহরগুলির আন্তর্জাতিক বিমানের বিকল্প পথে যাতায়াত ছাড়া উপায় থাকছে না। সেই কারণেই প্রত্যেক আন্তর্জাতিক উড়ানে অতিরিক্ত দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে। উড়ানের খরচও বাড়ছে লাফিয়ে। উত্তর আমেরিকার বিমানের ক্ষেত্রে খরচ বাড়ছে ২৯ লক্ষ টাকা। ইউরোপের বিমানগুলির ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধি হচ্ছে ২২ লক্ষ টাকা। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে যাতায়াতে বিমানে প্রায় ৪৫ মিনিট বেশি সময় লাগছে। এর জন্য অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে সপ্তাহে খরচ বাড়ছে ৭৭ কোটি টাকা। মাসের হিসাবে প্রায় ৩০৬ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দুই দেশের দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকলে বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক বিমানের ভাড়া বাড়াবে উড়ান সংস্থাগুলি।