সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: পাঁচদিন পর সরকারিভাবে পহেলগাঁও হামলার তদন্তভার হাতে নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। রবিবার সকালে সরকারিভাবে তদন্তভার গ্রহণ করেছে এনআইএ। তবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা আগেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসেছেন। প্রাথমিকভাবে তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
পহেলগাঁও হামলার পর একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কীভাবে হামলা, কোন পথে পালাল জঙ্গিরা? কোন গোপন অ্যাপের মাধ্যমে সংকেত আদানপ্রদান, স্থানীয় কেউ যুক্ত ছিল কিনা? এতবড় ঘটনা সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে, সবটাই খতিয়ে দেখবে এনআইএ। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে বৈসরণ ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন। তার মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি। বাকি দুজন কাশ্মীরের বাসিন্দা। চারজনের স্কেচও প্রকাশ হয়েছে। এর বাইরে আর কারা যুক্ত সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
তবে সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটা হল এই হামলার নেপথ্যে কি শুধুই পাকিস্তান এবং লস্করের টিআরএফ শাখা, নাকি এর নেপথ্যে হামাসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত রয়েছে? ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে হামাসের সঙ্গে এই হামলার ধাঁচের মিল পেয়েছেন। সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখবে এনআইএ।
এদিকে রবিবারও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। পহেলগাঁও হামলার পর পাক সরকার শিমলা চুক্তি অমান্য করার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর থেকেই লাগাতার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে পাকিস্তান। রবিবার সকালেও সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চালানো হয়। সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “২৬-২৭ তারিখের রাতে নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলি থেকে ছোট অস্ত্রের মাধ্যমে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। টুটমারি গলি এবং রামপুর সেক্টর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।” পাক হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও।