সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠান”, ‘যুদ্ধ’ পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া বার্তা দেন অমিত শাহ। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ইতিমধ্যেই পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন নির্দেশে বাতিল হয়েছে এদেশে থাকা পাকিস্তানিদের ভিসাও। শাহী নির্দেশের পরই পাকিস্তানের মন্ত্রী আদনান শামির নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পাক মুলুকের প্রাক্তন মন্ত্রী চৌধরী ফাওয়াদ হুসেন। পালটা ছেড়ে কথা বললেন না আদনানও।
এক্স হ্যান্ডেলে ফাওয়াদ হুসেন প্রশ্ন ছোড়েন, ‘এবার আদনান শামির কী হবে?’ নজরে পড়তেই প্রায় ‘যুদ্ধকালীন’ তৎপরতায় পালটা জবাব দেন সুরকার-গায়ক। কোনওরকম রেয়াত না করে আদনান লেখেন, ‘এই অশিক্ষিত মূর্খটাকে কে বোঝাবে!’ পরমুহূর্তেই তাঁর সংযোজন, ‘আমার শিকড় পেশোয়ারে। লাহোরে নয়! আপনি না তথ্যমন্ত্রী ছিলেন পাকিস্তানের, কিন্তু আপনার কাছে দেখছি কোনও তথ্যই নেই। বিজ্ঞানমন্ত্রীও ছিলেন নাকি? ওটা কোন বিজ্ঞান ছিল?’ আদনান শামির এমন উত্তরে নেটপাড়া বেজায় খুশি। তাঁর ভারতীয় অনুরাগীরা বলছেন, ‘দিলেন তো মুখে ঝামা ঘঁষে!’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালেই পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে আসেন আদনান শামি। এদেশের নাগরিকত্ব পান। তবে নিজের দেশ, ভিটে-মাটি, বন্ধু-স্বজন ছেড়ে ভারতে চলে আসা মোটেই সহজ ছিল না আদনানের জন্য। নেপথ্যে রয়েছে এক ভয়ঙ্কর কারণ। নিজমুখেই সেকথা শেয়ার করেছিলেন বছর খানেক আগে। আদনান জানান, অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে পাকিস্তানের প্রতি আমার এত বিদ্বেষ কেন? তবে আসল সত্যিটা হচ্ছে পাকিস্তানের মানুষদের উপর আমার কোনও রাগ নেই। ওঁরা আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহারই করেছেন। যতক্ষণ আমাকে কেউ ভালবাসেন, আমিও পালটা তাঁকে ভালবাসি। যদিও আমার মূল সমস্যা হচ্ছে ওই দেশের সরকারকে নিয়ে। যাঁরা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন, তাঁরাই জানেন বহু বছর ধরে সেখানকার প্রশাসনের থেকে আমাকে কী কী সহ্য করতে হয়েছে! সেটা ভুলিনি। যেটা আমার পাকিস্তান ছাড়ার আসল কারণ।’ সেই পোস্টেই আদনান শামি হুঁশিয়ারি দেন, ‘এক দিন সব কুকীর্তি ফাঁস করে দেব। বহু বছর চুপ করেছিলাম। আমি শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষায় রয়েছি। মানুষ এই সব শুনলে চমকে যাবেন!’ এবার পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফের চটলেন আদনান শামি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন