পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলা চালিয়ে উদযাপনে মেতেছিল জঙ্গিরা! তদন্তকারীদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলা চালিয়ে উদযাপনে মেতেছিল জঙ্গিরা! তদন্তকারীদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলা চালানোর পর শূন্যে গুলি চালিয়ে উদযাপনে মেতেছিল জঙ্গিরা। সম্প্রতি তদন্তকারীদের হাতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী এনআইএ আধিকারিকদের জানিয়েছেন, গত ২২ এপ্রিল বৈসরন উপত্যকায় বেছে বেছে হিন্দু নিধনের পর টিআরএফের পাঁচ জঙ্গির মধ্যে তিন জন শূন্যে গুলি চালিয়ে চরম উল্লাসে মেতেছিল। সেই সময় মোট চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।     

পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের পাঁচ জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। জানা গিয়েছে, পর্যন্ত ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের আর্জিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি।

এরপর পহেলগাঁও কাণ্ডের দু’মাসের মাথায় হামলাকারীদের আশ্রয়দাতা ওই দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ধৃত পারভেজ আহমেদ জোঠার নামের এক জঙ্গি কাশ্মীরের বাতকোটের এবং বসির আহমেদ জোঠার নামের ওপর জঙ্গি হিলপার্কের বাসিন্দা। এনআইএ’র তদন্তে উঠে এসেছে, ওই দুই জঙ্গি পহেলগাঁওয়ের হিলপার্ক এলাকায় কুঁড়ে ঘর তৈরি করে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের খাবারদাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের ব্যবস্থাও এরাই করেছিল। 

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই দুই জঙ্গি কাশ্মীরের বাসিন্দা হলেও আসলে তারা পাকিস্তানের নাগরিক। দুজনেই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। ভারতে হামলার উদ্দেশে অনেকদিন আগেই কাশ্মীরে এসে বাসা বাঁধে তারা। বর্তমানে এই দুই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল হামলাকারীদের সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *