পহেলগাঁওয়ে লস্কর যোগ নিয়ে পাকিস্তানকেই দুষল রাষ্ট্রসংঘ! নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের

পহেলগাঁওয়ে লস্কর যোগ নিয়ে পাকিস্তানকেই দুষল রাষ্ট্রসংঘ! নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আবেদন জানিয়ে বিপাকে পড়ল পাকিস্তান নিজেই! সূত্রের খবর, পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে থাকা লস্কর-ই-তইবাকে নিয়ে ইসলামাবাদকেই পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের তোপ, মিসাইল পরীক্ষা এবং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে মন্তব্য করে আসলে উসকানি দিচ্ছে পাকিস্তান নিজেই।

পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটকের হত্যার পরে তলানিতে পৌঁছছে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত, ভিসা বাতিল, আকাশসীমা বন্ধ করা, বাণিজ্য বন্ধের মতো একাধিক প্রত্যাঘাত করেছে নয়াদিল্লি। পালটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদও। এহেন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে জরুরি অধিবেশনের আবেদন জানায় পাকিস্তান। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে সোমবার গোপন রাতে বৈঠকে বসে ১৫টি দেশ। উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসাবে বর্তমানে রয়েছে পাকিস্তানও।

গ্রিসের সভাপতিত্বে নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠক শুরুর আগেই অবশ্য নয়াদিল্লি আঁচ করতে পেরেছিল, সদস্যপদের অপব্যবহার করে পরিষদের নজর পহেলগাঁও থেকে ঘোরাতে চাইবে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, বৈঠক চলাকালীন পাক প্রতিনিধি বলেন, সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেওয়া আসলে আগ্রাসী নীতিরই প্রতিফলন। এছাড়াও পাকিস্তানের দাবি, ভারত সামরিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে এবং উসকানিমূলক মন্তব্য করছে।

তবে একঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকে বরং মুখ পুড়েছে পাকিস্তানেরই। সূত্রের খবর, পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্করের হাত রয়েছে কিনা, সেই নিয়ে ইসলামাবাদের প্রতিনিধিকে প্রশ্ন করেছে অন্য সদস্যরা। যেভাবে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে হামলা হয়েছে, সেই বিষয়টিও উঠে এসেছে বৈঠকে। নিরাপত্তা পরিষদের মতে, পাকিস্তান যেভাবে মিসাইল পরীক্ষা করছে, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কথা বলছে তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তেজক হচ্ছে। পাকিস্তানের উচিত ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো। রাষ্ট্রসংঘের তরফে কোনও বিবৃতি মেলেনি, সরকারিভাবে বৈঠক নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *