সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল ওঠার ঘটনা খুব স্বাভাবিক। তবে হঠাৎ করে গোছা গোছা চুল পড়ার পিছনে থাকতে পারে কোনও কঠিন অসুখ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে সাধারণত ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এর অতিরিক্ত চুল উঠতে শুরু করলেই আগেভাগে সাবধান হওয়া জরুরি বইকি! চুল বিভিন্ন কারণেই উঠতে পারে। জিনগত সমস্যা হোক বা দুষণ, চুলের অযত্ন, এমনকী পুষ্টির অভাবেও চুল ওঠে। কিন্তু হঠাৎ করে মাথার বিশেষ স্থান থেকে গোছা গোছা চুল উঠে স্ক্যাল্পের সেই অংশ ফাঁকা হয়ে গেলে আগেভাগে সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ আপনি অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা রোগে আক্রান্ত!
কী এই অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা?
এই অসুখে যে কেউ যেকোনও বয়েসে আক্রান্ত হতে পারে। অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা এক ধরনের অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। এই রোগে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম হেয়ার ফলিকলকে আক্রমণ করে বসে। এই অসুখ দেখা দিলে মাথার চুল পড়া ছাড়াও শরীরের যেকোনও অংশ থেকেই চুল উঠতে শুরু করে। তাই প্রথম থেকেই রোগের উপসর্গের দিকে নজর রেখে সচেতন হতে হবে।
কী কী উপসর্গ দেখা দেয়?
(১) গোছা গোছা চুল উঠতে শুরু করে।
(২) স্ক্যাল্পের নির্দিষ্ট অংশে চুল ওঠে মাথায় টাক পড়ে যায়।
(৩) শুধু মাথা নয়, শরীরের অন্য যেকোনও অংশ থেকেই চুল উঠে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।
(৪) নখে ছোট ছোট গর্ত দেখা দিতে পারে বা নখের আকার এবং রঙের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
(৫) হঠাৎ করে থাইরয়েড দেখা দিতে পারে।
(৬) আইবিডি আর্থ্রাইটিস দেখা দিতে পারে।
এই অসুখ প্রতিরোধ করবেন কী ভাবে?
অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা প্রতিরোধের কোনও উপায় নেই। রোগের লক্ষণ অনুসারে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করে থাকেন। উপযুক্ত পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ক্রিম বা ওষুধই এই রোগের ট্র্যাডিশনাল চিকিৎসা পদ্ধতি। এক্ষেত্রে রোগীকে প্রোবায়োটিক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। রোগটি একবার দেখা দিলে তা সারাজীবন ধরে থাকতে পারে। কিংবা হঠাৎ করে সেরেও উঠতে পারে। তবে, উল্লেখ্য যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যে চুল না গজালে ভবিষ্যতে তা নতুন করে জন্মানোর সম্ভাবনা কম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন