সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু কি রাগ? ফের এই প্রশ্ন তুলেদিলেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা এক যুবক। নোংরা ফেলা নিয়ে ঝামেলায় জেরে তরোয়ালের এক কোপে প্রতিবেশী মহিলার ধড়-মুন্ডু আলাদা করলেন তিনি। যুবকের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন মহিলার স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তুচ্ছ কারণে খুনের কথা স্বীকার করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি বুধবার দুমকা জেলায় কবরস্থান রোডে ঘটেছে। অভিযুক্তের নাম ফুলচাঁদ শাহ। খুন হয়েছেন বিমলা দেবী। বিমলার সঙ্গে প্রতিবেশী রাগিনী শাহর দ্বন্দ্ব বহু দিনের। নবনির্মিত পিসিসি রোগে ময়লা ও জল ফেলা নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকত তাঁদের মধ্যে। বুধবারও তর্ক শুরু হয়। সেই সময় বিমলার স্বামী পেশায় শিক্ষক মনোজ সিং মধ্যস্থতা করতে গিয়েছিলেন। তাতে উলটে বচসা সংঘর্ষে পরিণত হয়।
এই সময় দুই ভাই এবং বাবা লালচাঁদ শাহকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন ফুলচাঁদ। অভিযোগ তরোয়াল নিয়ে বিমলা দেবীকে আক্রমণ করেন তিনি। এক কোপে মহিলার মুন্ডু ধড় থেকে আলাদা করে দেন। ফুলচাঁদের আক্রমণে রক্তাক্ত হন বিমলার স্বামী মনোজও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ফুলো ঝানো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পর প্রাথমিকভাবে পালিয়ে গেলেও পরে দুমকা নগর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। সেখানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। খুনের অস্ত্র তরোয়ালটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিমলা দেবীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, কোন অবস্থায় মহিলাকে খুন করলেন অভিযুক্ত। ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডের জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।