নৈহাটির পর ভাটপাড়াতেও স্মার্ট OPD-র সূচনা পার্থর, বিজেপি বিধায়কের অনুপস্থিতিতে জল্পনা

নৈহাটির পর ভাটপাড়াতেও স্মার্ট OPD-র সূচনা পার্থর, বিজেপি বিধায়কের অনুপস্থিতিতে জল্পনা

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


অর্ণব দাস, বারাকপুর: সাংসদ তহবিলের অর্থে নৈহাটির পর এবার ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তৈরি হতে চলেছে স্মার্ট ওপিডি সেন্টার। বুধবার মূল হাসপাতালের সামনে স্মার্ট ওপিডি-র জন্য নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। ছিলেন জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিধায়ক সনৎ দে, সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারী, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্যরা। তবে সূচনা অনুষ্ঠানে ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক অর্জুনপুত্র পবন সিং ছিলেন না। তিনি নাকি স্মার্ট ওপিডি-র বিষয়টি জানতেনই না! এনিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে।

কোন পদ্ধতিতে কাজ করে এই স্মার্ট ওপিডি সেন্টার? জানা গিয়েছে, প্রযুক্তি নির্ভর এই স্মার্ট ওপিডি সেন্টার থাকবে ই-প্রেসক্রিপশন থেকে ই-রেজিস্ট্রেশন এমনকি ই-রেফারাল, ই-ল্যাবরেটরির সুবিধা। চিকিৎসককে দেখাতে বাড়িতে বসে বা হাসপাতালে এসে আধার কার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করলে পাওয়া যাবে টোকেন। ডিসপ্লে বোর্ডে সেই টোকেনের নম্বর দেখে ডাক্তার দেখাবেন রোগীরা। প্রেসক্রিপশনও পাওয়া যাবে মোবাইলে। কী কী পরীক্ষা করা প্রয়োজন, তা রোগীর পাশাপাশি ল্যাবরেটরির কাছেও চলে যাবে। রিপোর্ট মিলবে মোবাইলে। রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য রাখা হবে হাসপাতালে।

ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্মার্ট ওপিডি ভবনের সূচনা করলেন পার্থ ভৌমিক।

প্রায় চারমাস আগে উপনির্বাচনের পর নৈহাটি বড়মার মন্দিরে এসে নৈহাটি ও ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের স্মার্ট ওপিডি ভবনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংসদ পার্থ ভৌমিক এই দুটি হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে দু’কোটি টাকা করে ৪ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপায়িত হওয়ার কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। কিন্তু এতদিন ধরে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এই বেহাল দশা কেন? শিলান্যাস অনুষ্ঠানে সেকথা বলতে গিয়ে নাম না করে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে সরব হন বর্তমান সাংসদ পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, ”আমি নির্বাচিত হয়েছি ৬ মাস। তারপরেও ভাটপাড়া হাসপাতালের জন্য দু’কোটি টাকা সাংসদ তহবিলের অর্থ থেকে দিয়েছি। যিনি সাংসদ ছিলেন, দীর্ঘদিনের বিধায়ক ছিলেন, এখন যিনি বিধায়ক আছেন তাঁরা কোনও উদ্যোগ নেননি কেন?” এর জবাবে অর্জুন সিং জানিয়েছেন, ”এই হাসপাতালটি আমার বাবা সত্যনারায়ণ সিং তৈরি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করবেন বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু কিছুই হয়নি। আমরাই হাসপাতালের অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি এনেছি।”

এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং। তিনি বলেন, ”আজ যে এমন কোনও অনুষ্ঠান আছে, খবরই ছিল না। আমি কোনও আমন্ত্রণও পাইনি। তাই কিছু জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি বিধায়ক বলে এই হাসপাতালে অনেক অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়েছি। সেসব নথিও আমার কাছে আছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *