রমেন দাস: নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল। এই প্রথমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে হল রামনবমী উদযাপন। গেরুয়া ধ্বজায় যেন মুখ ঢাকল ‘লাল গড়’। ‘আজাদ কাশ্মীর’ দেওয়াল লিখনের পাশেই হল রামপুজো। বহু বাধা আসলেও সফল বলেই দাবি রামনবমী আয়োজকদের একাংশের।
রবিবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে ভিড় জমান একদল পড়ুয়া। ‘সবুজ’ রঙের রামমূর্তি ক্যাম্পাসের ভিতরে নিয়ে আসেন তাঁরা। ‘আজাদ কাশ্মীর’ দেওয়াল লিখনের উপর জাতীয় পতাকা দিয়ে প্রতিবাদ করেন রামনবমীর আয়োজকরা। সেখানেই পুজোও করেন তাঁরা। রামনবমী উদযাপনে অংশ নেওয়া সৌরন বসুর দাবি, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমরা। এটা তো দেশের বাইরে নয়। তাই এখানে পুজো করা যাবে না। হিন্দুদের কোনও অনুষ্ঠান হবে না, তা হতে পারে না।” আরেক পড়ুয়া সোমসূর্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বহু বাধা এলেও আমরা সফল। দেশের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইফতার হলে, সকলের সমান অধিকার বা সুযোগ থাকা প্রয়োজন।”
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি চেয়ে গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখেন কয়েকজন ছাত্র। ‘সাধারণ ছাত্রছাত্রী’দের নামে সেই চিঠি পেয়ে গত বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। ওইদিন কর্তৃপক্ষের তরফে লিখিতভাবে জানানো হয় সিদ্ধান্তের কথা। কিন্তু ওই চিঠিতে কর্তৃপক্ষের কারও স্বাক্ষর ছিল না বলে দাবি করা হয়। এরপর ফের শুক্রবার স্বাক্ষর সম্বলিত নিষেধের চিঠি পান আবেদনকারীরা। সূত্রের আরও দাবি, কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে উপাচার্য নেই। তাই এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তার সঙ্গে অন্যান্য কারণও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। তবে অনুমতি না পেলেও রামনবমী পালন করবেন বলেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন পড়ুয়াদের একাংশ। সেই হুঁশিয়ারিই সত্যি হল। এই প্রথমবার ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করলেন একাংশ পড়ুয়া।