নিজের এলাকা দমদমে যেতে চান, বাড়ি ফিরেই ইচ্ছাপ্রকাশ সাংসদ সৌগতর

নিজের এলাকা দমদমে যেতে চান, বাড়ি ফিরেই ইচ্ছাপ্রকাশ সাংসদ সৌগতর

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তবে এখন তিনি সুস্থ। সদ্যই বাড়ি ফিরেছেন তিনি। তবে এখনও চিকিৎসকদের কঠোর পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতাকে। আজ, সোমবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। সংসদে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে জোরালো সওয়াল করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেই ভার্চুয়াল বৈঠকে এদিন যোগ দিয়েছিলেন সৌগত রায়ও। বাড়িতে থাকলেও সাংসদের মন পড়ে আছে দমদমে। সেই কথাই তিনি জানিয়েছেন।

বৈঠকের পর এদিন প্রবীণ সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও বিধানসভার মুখ‌্য সচেতক নির্মল ঘোষ, বরানগরের কাউন্সিলর দিলীপনারায়ণ বসু। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন সৌগত। সাংসদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তাঁরা। কথাবার্তার মধ্যেই নিজের সাংসদ এলাকা দমদমে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন সৌগত। মানুষের মধ্যে ফের তিনি যেতে চেয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “দমদম মানেই আপনি। আপনাকে দমদমে যেতেই হবে।” নির্মল ঘোষও বলেন, “সৌগতদা ছাড়া দমদম ভাবা যায় না। এখন সবে সুস্থ হয়েছেন। কিছুদিন পর নিশ্চয়ই দমদম যাবেন।”

সাংসদের চেহারা শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেকটাই ভেঙে গিয়েছে। তবে ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, প্রায় একমাস হাসপাতালে কাটিয়ে কার্যত ফিট হয়ে ফিরেছেন সৌগত। এখন তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই থাকছেন। আগামী ৭ আগস্ট সাংসদের জন্মদিন। ওই দিন চিকিৎসকরা বাড়ি গিয়ে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি দেখবেন বলে খবর। তারপরই পরামর্শমতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। এমনই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এপ্রিল মাসের শেষে সৌগত রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বেলঘড়িয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পেসমেকার বসানো হয়। পরে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। তবে জুন মাসের শেষের দিকে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সাংসদ। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। জানা যায়, জটিল স্নায়ুরোগে ভুগছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এছাড়াও ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন তিনি। ঘুম কমে গিয়েছিল সাংসদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *